প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের পাশাপাশি ইরানের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ এবং মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে তা জানানো হয়নি। সংঘাত শুরু হওয়ার পর গত সোমবার পার্লামেন্ট অধিবেশনে ভাষণ দেন পেজেশকিয়ান। ভাষণে ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন তিনি। বলেন, এই মুহূর্তে সকল ইরানিকে মতপার্থক্য ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দৃঢ়তা প্রদর্শন এবং এমন গণহত্যামূলক আগ্রাসন মোকাবিলায় একত্রিত হতে হবে।
ইরানে গত ছয়দিন ধরে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। হামলায় ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এসব ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার চেষ্টার পাশাপাশি পাল্টা ইসরাইলে হামলা চালাচ্ছে ইরান। বুধবার (১৮ জুন) ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আক্রমণের ষষ্ঠ দিনে রাতভর ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ৫০টিরও বেশি বিমান হামলা চালিয়ে তেহরানের একটি সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন সুবিধা এবং বেশ কয়েকটি অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রে আঘাত হানা হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি আইআরআইবি জানিয়েছে, ইরানি সামরিক বাহিনী বুধবার (১৮ জুন) সকালে ইসপাহানে একটি ইসরাইলি হার্মিস ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। নজরদারির জন্য ব্যবহৃত বিধ্বস্ত মনুষ্যবিহীন ড্রোনের ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছে তারা।
এদিকে সরকারি সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, ইরানি সামরিক বাহিনী রাজধানী তেহরান থেকে ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে ভারামিন শহরের জাভাদাবাদ এলাকায় ইসরাইলের আরও একটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। ভারামিনের গভর্নর হোসেইন আব্বাসির বরাতে আইআরএনএ আরও জানিয়েছে, ইরানি সেনাবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত যুদ্ধবিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করে।
ইরানের দাবি, গত শুক্রবার (১৪ জুন) ভোরে ইসরাইল বিনা উসকানিতে ইরানে আকস্মিক আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর গুলি করে ভূপাতিত করা পঞ্চম ইসরাইলি যুদ্ধবিমান এটা। ইসরাইল ইরানে ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে। তবে যুদ্ধবিমান ধ্বংসের কথা স্বীকার করেনি। ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের একটি দূর নিয়ন্ত্রিত ড্রোন ভূ-পৃষ্ঠ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভূপাতিত হয়েছে।