এই হিমশিলা ১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকার ফিল্শনার-রনি আইস শেল্ফ (Filchner-Ronne Ice Shelf) থেকে ভেঙে পড়েছিল। তখন থেকেই এটি বরফে আটকে ছিল। ২০২৩ সালে বরফ মুক্ত হয়ে এটি আবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিমশিলার স্বীকৃতি পায়। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের শুরুর দিকে এটি আবার আটকে পড়ে, কিন্তু ডিসেম্বরে সেটিও ভেঙে যায়। এখন এটি দক্ষিণ জর্জিয়া দ্বীপের উপকূলে থেমে আছে এবং সেখানেই ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে বা গলছে।
এই বরফখণ্ডের আয়তন প্রায় ১,২০০ বর্গমাইল, যা প্রায় দক্ষিণ জর্জিয়া দ্বীপের সমান (১৪০০ বর্গমাইল)। এখন পর্যন্ত এটি প্রায় ২০০ বর্গমাইল আয়তন হারিয়েছে। এর থেকে ভেঙে যাওয়া সবচেয়ে বড় টুকরোটির নাম রাখা হয়েছে ‘এ২৩সি’ (A23c), যার আয়তন ৫০ বর্গমাইল।
দক্ষিণ জর্জিয়া দ্বীপে মানুষের বসবাস কম হলেও এখানে রয়েছে বহু প্রজাতির সীল, সামুদ্রিক পাখি ও প্রায় ২০ লাখ পেঙ্গুইন। বরফখণ্ডটি উপকূলে আটকে থাকায় এসব প্রাণীর খাদ্য সংগ্রহের পথ দীর্ঘতর হতে পারে, যা তাদের জীবনে প্রভাব ফেলবে। বরফ গলে যাওয়া আশেপাশের পানির উষ্ণতা ও লবণাক্ততাও পরিবর্তন করতে পারে।
তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, বরফ গলার ফলে সমুদ্রে কিছু পুষ্টি উপাদান ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা সামুদ্রিক প্রাণীদের জন্য উপকারি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা আরও সতর্ক করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যতে আরও বড় বড় হিমশিলা ভেঙে পড়ার ঘটনা বাড়তে পারে। এতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্যহীনতা এবং বৈশ্বিক জলবায়ুতে ব্যাপক পরিবর্তন আসার আশঙ্কা রয়েছে।