বাদল আহাম্মদ খান নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বুধবার বাজার গিয়ে বুঝানো হয়েছে পোণা ও ডিমওয়ালা মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষতির কথা। সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে পৌর এলাকার আনন্দ বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে এ জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। এ সময় আলোচনার পাশাপাশি মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন সম্বলিত লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়।
কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ছায়েদুর রহমান, তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম রোটারিয়ান আশিকুর রহমান, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আরিফ নুরুল আমিন, বাজার কমিটির সভাপতি মো. খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. মোত্তাকিন, আহমেদ, তরী’র সদস্য খালেদা মুন্নী, সোহেল রানা ভূঁইয়া, হৃদয় কামাল।
উদ্বোধনকালে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় শোল, গজার ও টাকি মাছের পোনা ক্রয়-বিক্রয় রোধে এবং নিষিদ্ধ পিরানহা, আফ্রিকান মাগুর, জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ ক্রয়-বিক্রয় বন্ধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আনন্দ বাজার থেকে প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে যা পর্যায়ক্রমে জেলার প্রতিটি উপজেলায় কার্যকর হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘চায়না দুয়ারি বা রিং জাল, কারেন্ট জাল, বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ নিধন বন্ধ করতে হবে। আমরা মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনের ব্যাপারেও কথা বলেছি। মানুষ সচেতন হলেই এ কার্যক্রমের সফলতা আসবে।’
কিউএনবি/আয়শা/০৭ মে ২০২৫, /সন্ধ্যা ৬:২৮