ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কমান্ড সেফটি সেমিনার-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার তেজগাঁও বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশারের ফ্যালকন হলে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে ২০২৪ সালের বিমান উড্ডয়নের কার্যক্রম এবং উড্ডয়ন সংক্রান্ত সব ঘটনার বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
এ সময় তিনি ফ্লাইট সেফটি ট্রফি বিতরণ করেন। তিনি বিমান বাহিনী সদস্যদের কঠোর পরিশ্রম এবং পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন।
বিমান বাহিনী সদস্যদের দক্ষতায় ২৩ হাজার ২৬ ঘণ্টা নিরাপদ উড্ডয়ন সম্ভব হয়েছে- যা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কার্যক্রমের সাফল্য এবং নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি সেমিনারের মূল উদ্দেশ্যের প্রশংসা করেন এবং উল্লেখ করেন যে, এটি বিমান বাহিনী অভিজ্ঞ সদস্যদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি মূল্যবান প্লাটফর্ম, যা সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং উড্ডয়ন নিরাপত্তা উন্নয়নে সহায়তা করে।
তিনি উপস্থিত এয়ারক্রু, টেকনিশিয়ান, কন্ট্রোলারসহ সংশ্লিষ্টদের নিবিড় তত্ত্বাবধান বাড়ানোর পাশাপাশি অতীত অভিজ্ঞতালব্ধ ব্যবহারিক জ্ঞানের সফল প্রয়োগ ও উড্ডয়ন নিরাপত্তা প্রক্রিয়াগুলো কঠোরভাবে অনুসরণের আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাতিসংঘ মিশন রোটেশন ফ্লাইট, যুক্তরাজ্য এবং চেক রিপাবলিকের জন্য ফেরি ফ্লাইট, র্যাপেলিং এবং ফাস্ট রোপিং, প্যারা ট্রুপিং, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য মেডিকেল ইভাকুয়েশন, বিভিন্ন ভিভিআইপি ফ্লাইট, পুনরুদ্ধার এবং ফেনী বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে।
সবশেষে, কক্সবাজারের বিমান বাহিনী ঘাঁটিকে ‘আন্তঃঘাঁটি ফ্লাইট সেফটি ট্রফি’ এবং ৫ নং বহরকে ২০২৪ সালের সর্বোচ্চ নিরাপদ উড্ডয়ন ঘণ্টা অর্জনের জন্য ‘আন্তঃবহর খাদেমুল বাশার ফ্লাইট সেফটি ট্রফি’ প্রদান করা হয়।
এছাড়া, এ বছর সেরা বিমান প্রকৌশল বহর হিসেবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক বিমান প্রকৌশল বহরকে ‘বেস্ট এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ারিং স্কোয়াড্রন ট্রফি’ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিমান সদর ও বিমান বাহিনীর ঘাঁটিগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিমানসেনারা উপস্থিত ছিলেন।
কিউএনবি/অনিমা/০৫ মে ২০২৫, /রাত ৮:২৮