আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোমবার (৫ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়। এতে বলা হয়, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে হামলার তদন্তে রাশিয়া এবং চীনের সহায়তা করার আহ্বান জানানোর পর মোদিকে ফোন করলেন পুতিন। নয়াদিল্লি দাবি করেছে, ‘পুতিন হামলার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই হামলার সাথে জড়িত এবং এর পেছনে যারা আছেন তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
 
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সামাজিকমাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে জানান, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেছেন এবং ভারতের পহেলগামে হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি নিরীহ প্রাণহানির জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছেন। পুতিন জোর দিয়ে বলেন, এই জঘন্য হামলার অপরাধীদের এবং তাদের সমর্থকদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
মুখপাত্র আরও যোগ করেন, ‘দুই নেতা কৌশলগত সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বিজয় দিবসের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং বছরের শেষের দিকে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’
এর আগে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে রাশিয়া, চীন অথবা পশ্চিমা দেশগুলো এই সংকটে খুবই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে। তার কয়েকদিন পরই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ফোন করলেন। রাশিয়ার সরকার পরিচালিত আরআইএ নভোস্তি সংবাদ সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি রাশিয়া, চীন অথবা এমনকি পশ্চিমা দেশগুলো এই সংকটে খুবই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে। এমনকি তারা একটি তদন্ত দল গঠন করতে পারে যাদের এই দায়িত্ব দেয়া হবে, ভারত বা মোদি মিথ্যা বলছেন নাকি তিনি সত্য বলছেন তা তদন্ত করার।’
 
মন্ত্রী আরও বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফও পহেলগাম হামলার আন্তর্জাতিক তদন্তের পক্ষে। আসুন খুঁজে বের করা যাক ভারতে, কাশ্মীরে এই ঘটনার অপরাধী এবং পরিকল্পনাকারী কারা। কথা বা বিবৃতির কোনও প্রভাব নেই। পাকিস্তান এই ঘটনায় জড়িত থাকার বা এই হামলাকারীদের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হবে। এগুলো কেবল বিবৃতি, খালি বিবৃতি এবং এর বেশি কিছু নয়।’
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো নয়াদিল্লির দীর্ঘদিনের মিত্র এবং ইউক্রেন যুদ্ধের সময় এই অংশীদারিত্ব আরও গভীর হয়েছে। যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভারত রাশিয়ার তেল কিনেছে। এছাড়া পুতিন গত বছরের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী মোদির রাশিয়া সফরের সময় বলেছিলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক এতটাই শক্তিশালী যে আপনি কোনো কিছু না বললেও আমাকে বুঝতে পারবেন।’২২ এপ্রিল পহেলগামে বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর তীব্র অচলাবস্থা চলছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে। 
 
কিউএনবি/আয়শা/০৫ মে ২০২৫, /সন্ধ্যা ৭:১৪