ডেস্ক নিউজ : বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশু আছিয়া হত্যা মামলায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসক, মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ২ সেবিকা এবং অভিযুক্ত হিটু শেখের এক প্রতিবেশীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
ধারাবাহিকভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলে ১৫ মের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করা এবং রায় ঘোষণা করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল মনিরুল ইসলাম মুকুল।
মামলাটির সরকার পক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, আমরা সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে মামলার বিচারকার্য সম্পন্ন করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। ইতোমধ্যে মোট ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার আরও ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় শিশু আছিয়া। ১৩ মার্চ ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশুটি।
এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে সারা দেশে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নামেন। স্থানীয় আইনজীবীরাও এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার দাবির পাশাপাশি আসামিপক্ষকে কোনো প্রকার আইনি সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দেন।
মামলার মূল আসামি শিশুর বোনের শ্বশুর হিটু শেখ গত ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। যেখানে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তিনি একাই জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিলেও গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মামলার চার আসামির বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
কিউএনবি/আয়শা/০৪ মে ২০২৫, /রাত ৮:৫৫