আকাশের প্রতিবেশীরা জানায়, বুধবার রাতেই স্থানীয়রা অভিযুক্ত আকাশের বাড়িতে গিয়ে তাকে খুঁজতে থাকে। এলাকাবাসী জানায়, একের পর এক অনেকেই আকাশের খোঁজ করতে থাকালেও আমরা প্রথম দিকে বুঝতে পারছিলাম না কেন আকাশকে খোঁজা হচ্ছে। পোষ্টটি ভাইরাল হয়ে পড়লে এলাকায় জানাজনি এবং উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরা এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বারসহ তার পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক করার পাশাপাশি পুলিশকে তথ্যটি জানায়।বৃহস্পতিবার (১মে) সকাল থেকে উত্তেজনা বাড়তে থাকলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আকাশ খিয়াং রাজস্থলী উপজেলার ১নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ধনুছড়ি খিয়াং পাড়া গ্রামের ক্যাইসা খিয়াংয়ের ছেলে। জনগণের চাপ সামলাতে এক পর্যায়ে পুলিশ হিমসিম খায়। পরে আকাশের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
এ বিষয় ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবার্ট ত্রিপুরা বলেন, ইসলামের নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) নিয়ে যে বা যারাই কটুক্তি করেছে, আমরা চাই তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হউক। তিনি বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা আমাকে বিষয়টি অবগত করলে, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি তাৎক্ষণিক পুলিশকে তথ্যটি জানাই। সময়মতো পুলিশ ঘটনাস্থলে না আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, অভিযুক্ত আকাশ খিয়াং প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি ও আপত্তিকর পোস্ট করার পাশাপাশি একজন কুরুচিপূর্ণ কমেন্টস করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি ভাইরাল হলে সাধারণ মুসল্লিদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে রাজস্থলী থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আকাশ খিয়াং কে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
ওসি জানান, আকাশ ও মন্তব্যকারী অলড্রিন তনচংগ্যা নামের আরেক যুবকের বিরুদ্ধে রাজস্থলী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামল নং ১, ধারা ২৯৫ এ ৫০৫/৫০৫। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ স্কটের মাধ্যমে আসামী আকাশ খিয়াং কে রাঙামাটি জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অন্য আসামী অলড্রিন তনচংগ্যা কে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
কিউএনবি/অনিমা/০২ মে ২০২৫, /বিকাল ৪:০৪