শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম

“শ্রমিক-মালিক গড়বো দেশ, আরো সামনে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ”-শামীম খাঁন

আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি ।
  • Update Time : বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১০১ Time View
আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি : শ্রমিক-মালিক গড়বো দেশ, আরো সামনে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ এমন শপথ নিলেন বাংলাদেশ তৃণমূল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শামীম খাঁন। বুধবার বিকালে এই শ্রমিক নেতার কার্যালয়ে “পহেলা মে” আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসকে ঘিরে তাঁর দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকালে তিনি এই শপথ নেন।

এসময় শ্রমিক নেতা শামীম খাঁন বলেন, কাজে ঘেমে-নেয়ে একাকার শ্রমিকেরা। এ কাজের মজুরি দিয়েই চলে তাদের সংসার। ভোরের আলো ফোটার আগেই শুরু হয়ে যাওয়া কাজ বিরতিহীনভাবে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। তাদের অনেকেই মে দিবসের তাৎপর্য জানেন না। শুধু জানেন, তাদের ন্যায্য মজুরির দাবি এখনও উপেক্ষিত, এখনো তাদের বিরাট অংশ মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। বুধবার পহেলা মে; মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের রক্তঝরা দিন।

সারা বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় পালন করা হয় এ মে দিবস। ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকেরা আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। ওই দিন অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে কয়েকজন শ্রমিককে জীবন দিতে হয়। মহান মে দিবস পৃথিবীর দেশে দেশে শ্রমিক শ্রেণির আন্তর্জাতিকভাবে সংহতি ও ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার প্রকাশের দিন। মহান মে দিবস পৃথিবীর সব শ্রমজীবী মানুষের এক অমর প্রেরণার উৎস।

কিন্তু এখনো তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে পেশির দাপটে রক্ত পানি করে যে জীবন যোদ্ধা শ্রমিক, যাদের শ্রমে ঘামে গড়ে ওঠে সভ্যতা, আমাদের যাপিত জীবনের আশ্রয়; সেই শ্রমিকের গড়া সেই অট্টালিকায় থেকেও তাদের কথা ভাবার সময় মেলে না কারো। নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে নিরন্তর খেটে যাওয়া মানুষগুলো উপেক্ষিত থাকবে, এটাই যেন তাদের নিয়তি। একই টুকরি, একই শ্রম, একই কষ্ট। তবুও মজুরির বেলায় লিঙ্গভেদ আর বৈষম্য।
যা আজও পোড়ায় মানুষের হৃদয়। মে দিবস প্রতিষ্ঠার ১৩৯ বছরেরও বেশি সময় পরে শ্রম মজুরি, কর্মঘণ্টা ও শোভন কর্মের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আমাদের দেশের শ্রমজীবী মানুষের রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক, কোনো ক্ষেত্রেই তাদের মর্যাদা বা অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি, জীবনযাত্রার মানের উন্নতি হয়নি।
আমাদের দেশের শ্রমজীবী মানুষ এ দিবসে এখনো তাদের অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন করে আসছে। আমাদের দেশের শ্রমিক-কর্মচারীরা এখনো তাদের শ্রমের ন্যায্য মজুরি ও ন্যূনতম অধিকার থেকে বঞ্চিত। নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে সমকাজে সমমজুরি থেকে তারা অনেকটা বঞ্চিত। বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনের একটা সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।

বিগত শতাব্দীর শেষভাগেও আমাদের দেশে শ্রমিক শ্রেণি বিরাট আন্দোলন ও জাগরণ সৃষ্টি করেছিল। তবে সত্যিকার অর্থে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা এবং শিল্পে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আদর্শভিত্তিক সৎ নেতৃত্ব এবং সুস্থ ধারার নিয়মতান্ত্রিকতা প্রয়োজন। একই সঙ্গে মালিকদেরও শ্রমিকদের প্রতি আস্থা রাখার ফলে শিল্প বিকাশ ও শ্রমিকদের উন্নয়ন সম্ভব বলেই আমি মনে করছি। 

 

কিউএনবি/আয়শা/৩০ এপ্রিল ২০২৫,/সন্ধ্যা ৭:৪০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit