বাদল আহাম্মদ খান নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি জমিতে নির্মাণাধীন ভবন আংশিক গুড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর এলাকার শিমরাইকান্দিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি, রেলওয়ের একটি জায়গা ‘উপ-ইজারা’ নিয়ে সরকারি খাস জায়গার ঘর তুলছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিমরাইলকান্দি এলাকার বাসিন্দা ইট, বালু, কংক্রিট, পাথর ব্যবসায়ি মো. হাবিবুর রহমান ভুইয়া জেলা শহরের সঙ্গে বিজয়নগর উপজেলার সংযোগকারি সড়ক নূরপুর জিসি-কালীবাড়ি আরএন্ডএইচ (সীমানা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সড়কের শিমরাইলকান্দি এলাকার তিতাস সেতুন সংলগ্ন এলাকায় পাকা স্থাপনা নির্মাণকাজ শুরু করেন। সেখানে তিনি ছয়টি দোকান নির্মাণ করছিলেন। বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয়দের মাঝে আলোচনা-সমালোচনা চলছিল।
 রবিবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা গোস্বামী সেখানে অভিযান চালান। অভিযানের সময় পাকা স্থাপনার রিংটারসহ দেয়ালের কিছু অংশ গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় হাবিবুর রহমান ভূইয়ার পক্ষে ভাতিজা দানু ভূইয়া জায়গটি রেলবিভাগ থেকে ইজারা নেয়া হয়েছে বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে অবহিত করেন। তবে জায়গাটি বিএস জরিপে সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। দখলকারির আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থাপনা সরাতে দানু ভুইয়াকে একদিনের সময় বেধে দেওয়া হয়।
হাবিবুর রহমান ভুইয়ার কাছ থেকে প্রাপ্ত লিজের কাগজপত্র ঘেঁটে জানা গেছে, শিমরাইলকান্দির ৬৯নং জেএল ও ২ নম্বর খাস খতিয়ানের ৯১ বিএস দাগের ২৬শতক জায়গার মধ্যে ৩০০ বর্গফুট ভুমি একই এলাকার নুরু মিয়াকে বাণিজ্যিক ইজারা দেয় রেলওয়ের বিভাগীয় ভ‚-সম্পত্তি বিভাগ। যার চৌহদ্দির উত্তরে লাইসেন্সকৃত কৃষি ভ‚মি, দক্ষিণ ও পূর্বে রাস্তা ও পশ্চিমে মাদরাসা। কিন্তু স্থাপনা নির্মাণাধীন জায়গার পূর্বে ও উত্তরে সরকারি খাল এবং পশ্চিমে রাস্তা রয়েছে। 
অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান ভ‚ঁইয়া সাংবাদিকদেরকে জানান, ইজারা পাওয়া নূরু মিয়ার কাছ থেকে জায়গাটি চুক্তিমূলে নিয়েছি। রেলবিভাগ এ জায়গা নূরু মিয়াকে ইজারা দিয়েছেন। এখন প্রশাসন বলছে আমাদের দাগ নম্বর ভুল। বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা গোস্বামী সাংবাদিকদেরকে জানান, বিএস ৫৭ দাগে এটি সরকারি এক নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত খালের জায়গা। তারা যে জায়গা রেল থেকে ইজারা নিয়েছেন এটি সে জায়গা নয়। তারা দাগ নম্বর ভুল করে সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করছেন স্বীকার করে সময়ের আবেদন করেছেন। তাই স্থাপনা সরাতে একদিনের সময় দেওয়া হয়েছে।
কিউএনবি/আয়শা/১৩ এপ্রিল ২০২৫,/রাত ১০:৩৮