ডেস্ক নিউজ : সাইয়েদ আল মুরসালিন
নিশ্চয়ই আমি এটি (কুরআন) লাইলাতুল কদরে অবতীর্ণ করেছি। আর তুমি কি জানো, লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হলো এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। সে রাতে ফেরেশতারা এবং রূহ (জিব্রাইল আ.) তাদের প্রভুর অনুমতিক্রমে প্রত্যেক বিষয়ে অবতরণ করেন। এটি শান্তি, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। (সুরা আল-কদর: ১-৫)
এই আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, লাইলাতুল কদর বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন, এবং এই রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে এক হাজার মাসের সওয়াব লাভ করা সম্ভব। লাইলাতুল কদর সম্পর্কিত হাদিসসমূহে রাসুল (স.) এর অসংখ্য উপদেশ ও আমলের বর্ণনা রয়েছে। তিনি বলেন,
যে ব্যক্তি ইমান ও সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে ইবাদত করে, তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (বুখারি, মুসলিম) রসুলুল্লাহ (সা.) এই রাতকে খুঁজে পাওয়ার জন্য বিশেষভাবে শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে অধিক ইবাদত করতে বলেছেন। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) একবার রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, যদি তিনি লাইলাতুল কদর পেয়ে যান, তাহলে কী দোয়া পড়বেন? তখন রাসুল (সা.) বললেন—
اللّٰهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّيْ (উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি’) (তিরমিজি) হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, তুমি ক্ষমা করতে ভালোবাসো, তাই আমাকে ক্ষমা করে দাও।
লাইলাতুল কদরে করণীয় ইবাদত:
কিউএনবি/আয়শা/২২ মার্চ ২০২৫,/রাত ৮:৩৪