মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন

ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পেলেন সেই শামীমা

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫
  • ৯৮ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবশেষে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা বেগম। দুই ব্রিটিশ নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিলের বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ে ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট আজ শামীমা ও আরেক আবেদনকারীর পক্ষে রায় দিয়েছে।

ব্রিটিশ মানবাধিকার সংগঠন “ইউকে হিউম্যান রাইটস ব্লগ” এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সুপ্রিম কোর্টের রায়
“এন ৩ ও জেডএ বনাম যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (২০২৫) ইউকেএসসি-৬” মামলায় শামীমার পক্ষে রায় দিয়েছে আদালত। এই মামলাটি ছিল মূলত—জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই দুই ব্রিটিশ নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিলের বিষয়ে। বিবাদী পক্ষ যুক্তি দিয়েছিল, এই সিদ্ধান্ত তাদের রাষ্ট্রহীন করবে না, কারণ তারা ব্রিটিশ ও বাংলাদেশি দ্বৈত নাগরিকত্বধারী।

পুরো সময়জুড়ে ব্রিটিশ নাগরিক গণ্য করা হবে
এই মামলায় পরে নাগরিকত্ব বাতিলের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট রায়ে জানিয়েছে, এই আদেশ প্রত্যাহারের ফলে আবেদনকারীদের পুরো সময়জুড়ে ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবেই গণ্য করতে হবে।

অর্থাৎ, শামীমা অতীতে ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন, এখনো আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।

২০১৫ সালে আইএস-এ যোগদান ও পরবর্তী ঘটনা
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা বেগম ২০১৫ সালে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এ যোগ দিতে যুক্তরাজ্য ছাড়েন। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। সিরিয়ায় গিয়ে তিনি আইএসের ডাচ সদস্য ইয়াগো রিয়েডিকে বিয়ে করেন। সেখানে তাঁর তিনটি সন্তান জন্ম নেয়, যাদের সবাই মারা গেছে।

পরবর্তীতে স্বামী রিয়েডিও এক কুর্দি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন বলে জানা যায়।

২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেন।

সেই সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য ২০২৩ সালে শামীমার আইনজীবীরা আপিল করেন। কিন্তু আপিল আদালতের তিনজন বিচারক সর্বসম্মতিক্রমে তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন।

সিরিয়ায় শিবিরে দুর্দশার জীবন
২০১৯ সালে আইএস পরাজিত হওয়ার পর সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের আল-রোজ শিবিরে শামীমার সন্ধান পাওয়া যায়। তিনি এখনো সেখানেই আছেন।

শামীমার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, সেই শিবিরের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। সেখানে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে মানুষ, রোগবালাই নিত্যদিনের ঘটনা, শামীমাকে অন্য ব্রিটিশ নারী ও শিশুদের সঙ্গে আটক রাখা হয়েছে, নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে।

শামীমা স্বীকার করেছেন, তিনি জেনেশুনে একটি নিষিদ্ধ সংগঠনে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, এই কাজের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত।

তবে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, “আমাদের অগ্রাধিকার যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা বজায় রাখা। দেশের সুরক্ষার স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে আমরা তা রক্ষা করতে অটল থাকব।”

সূত্র: বিবিসি

কিউএনবি/অনিমা/১৩ মার্চ ২০২৫,/বিকাল ৫:০০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit