বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন

আশুলিয়ায় ঘরে জমাকৃত গ্যাসের আগুনে নারী ও শিশুসহ দগ্ধ-১১

আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি ।
  • Update Time : শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৬৫ Time View
আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি : ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় পিঠা বানানোর সময় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের জমাকৃত গ্যাসের আগুনে শিশুসহ অন্তত ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। 
শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী “নয়া দিগন্ত”কে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এরআগে, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার গোমাইল এলাকার আমজাদ ব্যাপারীর বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 
আগুনে দগ্ধরা হলেন- মোছা. সূর্য বানু (৫৫), মোছা. জহুরা বেগম (৭০), মো. মনির হোসেন (৪৩), সোহেল (৩৮), সুমন মিয়া (৩০), শিউলি আক্তার (২৫), শারমিন (২৫), ছামিন মাহমুদ (১৫), মাহাদী (০৭), সোয়ায়েদ (০৪) ও মোছা. সুরাহা (০৩)।  
ডিইপিজেড ফায়ারসার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী জানান, “আগুনের খবর পেয়ে আমাদের ফায়ারসার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে রওনা হয়। কিছুক্ষণ পরেই খবর আসে আগুন নিভে গেছে। পরে আমরা ফিরে আসি। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে অনেকেই আগুনে দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে আমাদের জোন কমান্ডারের নির্দেশে ঘটনাস্থলে যাই।
পরে সেখানে তদন্ত করে জানা গেছে, গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমা হয়। একটি কক্ষে কম্পিউটার ছিল। কেউ কম্পিউটারটি ওপেন করছিল এবং সাথে সাথেই জমাকৃত গ্যাসে বিস্ফোরণ হয়। 
তিনি আরো জানান, একটি কক্ষে কম্পিউটারের সিপিওতে কোন শর্ট সার্কিট বা লুজ কানেকশন ছিল। সেখান থেকেই আগুন ধরে যায়। এধরণের ঘটনাগুলোতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়না, জমাকৃত গ্যাসেই বিস্ফোরণ হয়। 
এদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গুমাইল এলাকার আমজাদ বেপারীর মালিকানাধীন দুই তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় সুমন নামের এক ব্যক্তি দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। রাতে তার ভাই সোহেলের পরিবার বেড়াতে আসেন সেখানে।
সোহেল অন্য স্থানে ভাড়া থাকতেন। তার মা সাতদিন সোহেলের বাসায় আর সাতদিন সুমনের বাসায় থাকতেন। শবে বরাত উপলক্ষে পিঠা বানানোর সময় এ ঘটনা ঘটে। এসময় তাদের পরিবারের শিশু ও নারীসহ মোট ১১ জন দগ্ধ হয়।  
দগ্ধ সোহেল রানা বলেন, শবে বরাত উপলক্ষে আমার ভাই সুমনের বাসায় পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে পিঠা বানানোর সময় হঠাৎ ঘরে আগুন ধরে যায়। সেই আগুনে আমাদের পরিবারের সবাই দগ্ধ হয়। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক হাবীবুর রহমান জানান, “আমাদের হাসপাতালে নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে দগ্ধ সবাইকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। 

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫,/বিকাল ৩:৪৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit