ডেস্ক নিউজ : মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ভলাকুট-কান্দিপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি পঙ্কজ দাস, সাধারণ সম্পাদক নান্টু দাস, সদস্য গোপাল দাস ও অতীন্দ্র দাসসহ আরও অনেকে।
ভলাকূট-কান্দিপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি সভাপতি পঙ্কজ দাস বলেন, ভারতীয় নাগরিক সজল দাসের নামে ভলাকূট মৌজার বিল পুটিয়া উন্নয়ন প্রকল্প ৬ বছরের স্কিম পাওয়ার জন্য পাশের গোয়ালনগর ইউনিয়নের ভিটাডুবি উত্তর মৎস্যজীবী সমিতি আবেদন করেছে। ভারতের আসামের নাগরিক সজল দাসের নামে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে বিল ইজারা নেয়ার পাঁয়তারা করছেন। ওই সমিতির সদস্য সংখ্যা মাত্র ৩৯ জন। পক্ষান্তরে ভলাকূট-কান্দিপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্য সংখ্যা ২৮৫ জন।
এ ছাড়া প্রকৃত মৎস্যজীবী না হয়েও ভারতীয় নাগরিকের নামে আবেদন করা হয়েছে- যা ইজারার নিয়ম বর্হিভূত, আইনগতভাবে দণ্ডনীয়। তিনি বলেন, এই সমিতির কাছে বিল ইজারা দেয়া হলে অন্তত পাঁচ হাজার জেলে পরিবারের সদস্য পথে বসবে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক নান্টু দাস জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আমরা প্রকৃত মৎস্যজীবীরা সরকারের নীতিমালা অনুসরণ করে বিলটি ইজারা নিয়ে মাছ ধরে জীবন যাপন করছি।
কিন্তু তারা বাঁকা পথে টাকা বেশি দিয়ে ভারতীয় নাগরিক সজল দাসকে বিলটি ইজারা দেয়ার পাঁয়তারা করছে। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে দাবি করবো প্রকৃত মৎস্যজীবী হিসেবে ভলাকূট-কান্দিপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যদের যেন বিলটির ইজারা দেয়া হয়। পরে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসনের বরাবর স্মারক লিপি দেন মানববন্ধনকারীরা।
কিউএনবি/আয়শা/২৬ জানুয়ারী ২০২৫,/সন্ধ্যা ৬:৪৫