আলি হায়দার রুমান,ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি : হাত জোড় করে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতাদের বিচার করতে চাওয়া আওয়ামীলীগ নেতা। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আব্দুল গাফফার মুকুল। ভিডিও মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়ার বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।জানা যায়, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ফেইসবুক পোষ্টে “সোজাসাপ্টা” অনুষ্ঠানের ‘আওয়ামী লীগের মধ্যে সরি ফিল পর্যন্ত নেই’ শিরোনামের একটি ভিডিওতে কমেন্ট করেন ভোলাহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আব্দুল গাফফার মুকুল। কমেন্টে তিনি লিখেন, ‘সর্বপ্রথম তোদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে, তোরা যারা এই স্থিতিশীল বাংলাদেশকে আজকে অস্থিতিশীল করে দিয়েছিস।
অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। অন্য আরেকটি পোষ্টের কমেন্টে প্রশ্ন করে তিনি লিখেন, ‘৮০০ জন ছাত্র গণহত্যা না, ৩২০০ পুলিশ হত্যা গণহত্যা? পুলিশ জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ও নিজস্ব নিরাপত্তার স্বার্থে গুলি চালাতে পারে কী না?’তাঁর কমেন্ট নিয়ে অনেকে বিরুপ মন্তব্য ও প্রতিবাদ জানিয়ে কমেন্টের স্কিনসর্ট দিয়ে পোষ্ট করেছেন। মুক্তার আহমেদ নামে একজন লিখেন ‘আপনাদের মত ভন্ড নেতা গুলোর জন্যই তো দেশের আজ এই অবস্থা। দেশটাকে বর্গা দিয়ে রেখেছিলেন ভারতের দাদাদের কাছে।’ মিনহাজুল ইসলাম পোষ্ট করে লিখেন, ‘এত সাহস কোথা থেকে আসে, খতিয়ে দেখা দরকার। আগেই বলেছি, ভুলের ক্ষমা আছে কিন্তু অপরাধের ক্ষমা নেই।’
শহিদুল ইসলাম লিখেন, ‘আমি বরাবরই বলে আসছি তাদের পূর্বের ক্ষমার যোগ্য ভুল গুলো ক্ষমা করে দিয়েছি। কিন্তু নতুন করে কেউ ফ্যাসিস্ট, রক্ত পিপাসু স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সাফাই গাইলে তাকে তার কাঙ্খিত জবাব দেওয়া হবে, ইনশাআল¬াহ। মোঃ রাসেল আহমেদ মন্তব্য করেছেন, ‘এই দরবেশ কোথায় আছে? আল¬াহ তাআলা কি তাকে এখনো সু-বুদ্ধি দেননি, নাকি কান আছে সোনেনা, চোখ আছে তবুও চাটুকারিতার রাজনীতির কথা ভুলতে পারেনা?
আব্দুল কাদির জিলানী মন্তব্য করেছেন, ‘এইগুলো তার দোষ না, দোষ ওইসব নেতাদের যারা এইসব মানুষকে শেল্টার দেয়। এলাকায় তো এক একটা দয়ার সাগর সব সেটা বিএনপি হোক বা জামায়াত। বেশির ভাগ নেতা গুলোই দয়ার সাগর। অনেকে লিখেছেন, ‘পাঁচই আগষ্টের পরে এদের প্রাপটা বুঝায়ে দেয়া হয় নাই। বড় ভুল হইছে সেইটা।’
কিউএনবি/অনিমা/২৫ জানুয়ারী ২০২৫,/দুপুর ১২:৫৬