মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
নোয়াখালীতে ২৯ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়, ট্রাম্পকে কড়া হুঁশিয়ারি ফ্রান্সের সুদানে ভয়াবহ ভূমিধসে পুরো গ্রাম নিশ্চিহ্ন, সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেলেন এসবিপ্রধান গোলাম রসুল ও র‌্যাব ডিজি শহিদুর রহমান জিওসিসহ সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল ভূমিকম্পে আফগানিস্তানে অন্তত ৮০০ মানুষ নিহত: জাতিসংঘ প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করেও ডাকসু নির্বাচন হবে: ঢাবি উপাচার্য মুম্বাইয়ের রাস্তায় হামলার শিকার বলিউড অভিনেত্রী টানা ৩ দফায় কত বাড়ল স্বর্ণের দাম? ১ সেপ্টেম্বর: ইতিহাসে এই দিনে আলোচিত কী ঘটেছিল?

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন জেজু এয়ারের সিইও-কর্মকর্তারা

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩৭ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ প্লেন দুর্ঘটনায় দেড় শতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় মাথা নত করে ক্ষমা চেয়েছেন জেজু এয়ারলাইনের প্রধান নির্বাহী এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা। সংক্ষিপ্ত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কিম ই-বে এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের মাথা নুইয়ে ক্ষমা চাইতে দেখা গেছে।

কিম ই-বে জানিয়েছেন, এখন হতাহতের পরিবারগুলোকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার বিষয়টিকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। প্লেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এয়ারলাইনের পক্ষ থেকেও ক্ষমা চেয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুয়ান বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের প্রত্যেকের কাছে আমরা জেজু এয়ার মাথা নত করে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

এই দুর্ঘটনার পর আমরা যা পারি সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাব। এই দুর্ঘটনার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। জেজু এয়ারের ইতিহাসে এটাই প্রথম এ ধরনের হতাহতের ঘটনা। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় কিন্তু কম বাজেটের এয়ারলাইন্স। দেশটির দমকল বিভাগের ধারণা পাখির আঘাত এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের প্রধান লি জিয়ং-হুন।

বলা হচ্ছে, সবচেয়ে ভয়াবহ প্লেন দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দুর্ঘটনার পর প্লেনটি থেকে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। প্লেনটিতে দুর্ঘটনার সময় ১৮১ জন আরোহী ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ওই দুজন ছাড়া বাকি সবাই নিহত হয়েছে।

স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৭ মিনিটে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের একটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এসময় বিমানটিতে মোট ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু ছিল।

ধারণা করা হচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে এটাই সবচেয়ে মারাত্মক প্লেন দুর্ঘটনা। এর আগে দেশটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০০২ সালে। সে সময় এয়ার চায়নার একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে ১২৯ জন নিহত হয়।

যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার আর দুজন থাইল্যান্ডের নাগরিক। এক দমকল কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে বলে জানানো হয়েছে। প্লেনটি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ফিরছিল। এটি রানওয়েতে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়েছে।

ওই প্লেনটি কেন দুর্ঘটনায় পড়লো বা রানওয়ে থেকে ছিটকে গেল তা এখনো জানা যায়নি। তবে পাখির কারণে ল্যান্ডিং গিয়ার অকার্যকর হয়ে এটি হতে পারে বলে ইয়োনহাপের খবরে বলা হয়েছে।

কিউএনবি/অনিমা/২৯ ডিসেম্বর ২০২৪,/রাত ১০:১১

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit