ডেস্ক নিউজ : উত্তরে জেলা পাবনাতে হঠাৎ করেই জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরের হিমেল হাওয়ার সাথে সাথে শীতের তীব্রতাও বৃদ্ধি পেয়েছে জেলাজুড়ে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে জেলা সদরের ফুটপাতসহ হকার্স মার্কেটগুলোতে গরম কাপড় কিনতে সাধারণ ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ স্বল্পমূল্যে পোশাক কিনতে ছুটছেন ফুটপাতের দোকানগুলিতে। উন্মুক্তভাবে ক্রেতাদের জন্য রাখা শীতের বিভিন্ন পোশাক দেখে শুনে পছন্দ করে কিনছেন ক্রেতারা।
৩০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হচ্ছে এখানে। বিদেশ থেকে আসা এই সকল পণ্য শুধু নিম্ন আয়ের মানুষই নয় সচ্ছল পরিবারের সদস্যরাও কিনছেন। মেয়েদের কার্ডিগান থেকে শুরু করে ছেলেদের জ্যাকেট, বাচ্চাদের সোয়েটার, পায়ের মোজা, মাথার টুপি, হাত মোজা সকল ধরনের শীতের পণ্যের সমাহার নিয়ে পর্ষদ সাজিয়ে বসেছে হকাররা ফুটপাতে।
গত দুইদিন পাবনা অঞ্চলে সাধারণ তাপমাত্রার চাইতে একটু বেশি শীত অনুভব হচ্ছে। পাবনা ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য অনুসারে, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রেকর্ডকৃত তাপমাত্রা ছিল ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা বুধবার ছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুইদিন পাবনা অঞ্চলে সূর্যের দেখা তেমন মেলেনি। ঘন কুয়াশায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থেকেছে দিনের বেশির ভাগ সময়। আর এরই সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়া থাকায় শীত অনুভব হচ্ছে একটু বেশি। তাইতো শীতের পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে নিজের ও পরিবারের ছোট বড় সকল সদস্যদের জন্য শীতের গরম পোশাক ক্রয় করতে ফুটপাত ও হকার্স মার্কেটগুলোতে সাধারণ ক্রেতাদের ভিড় বৃদ্ধি পেয়েছে।
একদিকে যেমন পোশাক ক্রয় করছেন ক্রেতারা অন্যদিকে ফুটপাতে শীতের পিঠাপুলি বিক্রি হচ্ছে। তবে বিক্রেতারা জানান, বিগত বছরের চাইতে এই বছরে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পোশাকের গাট বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাদের। আর সেই তুলনায় দাম পাচ্ছেনা তারা। অপরদিকে ক্রেতারা বলছেন, বিদেশ থেকে আসা পণ্য স্বল্পমূল্যে ফুটপাত থেকে তারা ক্রয় করতে পারছেন। আর বাজার বা মার্কেট থেকে পোশাক কিনতে অনেক পয়সা লাগে। তাই ফুটপাত থেকে পোশাক কিনে শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেত চান তারা। আকাশ পরিষ্কার হলে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির পেতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
কিউএনবি/আয়শা/১২ ডিসেম্বর ২০২৪,/রাত ১০:৩০