আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভিয়েতনামের নারী ধনকুবের ট্রুং মি লানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন দেশটির আদালত।
মঙ্গলবার লানের আপিল আবেদনটি খারিজ করে দেওয়া হয়।
গত এপ্রিলে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ ও ঘুষগ্রহণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন লান। এই মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এটিকে ভিয়েতনামের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
লান দেশটির আবাসন কোম্পানি ভান থিন ফাত হোল্ডিংস গ্রুপের চেয়ারপারসন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ভিএনএক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় হো চি মিন সিটির দ্য হাই পিপলস কোর্ট লানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার ব্যাপারে অনড়। আদালত মনে করেন- মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমানোর কোনও যৌক্তিকতা নেই।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, লান যদি আত্মসাৎ করা অর্থের তিন-চতুর্থাংশ ফিরিয়ে দিতে পারেন, তবে সাজা কমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
ভিয়েতনামে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকজন বিখ্যাত ব্যবসায়িক নির্বাহী এবং সরকারি কর্মকর্তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। লান তাদেরই একজন।
দুর্নীতিবিরোধী ওই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ব্লেজিং ফারনেস।
মঙ্গলবার আপিল শুনানিতে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, “লান যা করেছেন, তা মামলা-মোকদ্দমার ইতিহাসে নজিরবিহীন। আর তিনি যে পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, তা বড় অংকের এবং পুনরুদ্ধারযোগ্য নয়।”
প্রসিকিউশনকে উদ্ধৃত করে ভিয়েতনামের রাষ্ট্র পরিচালিত অনলাইন সংবাদপত্র ভিয়েতনামনেট এ তথ্য জানিয়েছে।
আসামির কর্মকাণ্ডের কারণে সমাজ, আর্থিক বাজার এবং অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ভিয়েতনামে পুনর্বিচার প্রক্রিয়ার আওতায় এখনও লানের রিভিউ আবেদন করার সুযোগ আছে।
২০২২ সালে জালিয়াতির অভিযোগে লান গ্রেফতার হন। এ জালিয়াতির কেন্দ্রে আছে সাইগন কমার্সিয়াল ব্যাংক। প্রক্সি হিসেবে কাজ করা ব্যক্তির মাধ্যমে লান আসলে সাইগন কমার্সিয়াল ব্যাংকের সিংহভাগের মালিক ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও গত অক্টোবরে ভিন্ন একটি মামলার রায়ে লানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সম্পত্তি আত্মসাৎ এবং অর্থপাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে তার বিরুদ্ধে এই সাজা ঘোষণা করা হয়। সূত্র: রয়টার্স
কিউএনবি/অনিমা/০৩ ডিসেম্বর ২০২৪,/রাত ৯:০৪