আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুদিন আগে রোববার (৩ নভেম্বর) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রকাশিত মতামতধর্মী এক লেখায় এ মন্তব্য করেছেন নিকি হ্যালি। এছাড়া তিনি সিদ্ধান্তহীন ভোটারদের উভয় প্রার্থীর নীতি প্রস্তাব বা প্রতিশ্রুতিগুলো বিবেচনা করে দেখার অনুরোধ করেছেন।
নিকি হ্যালি লিখেছেন, ‘আমি ট্রাম্পের সঙ্গে শতাভাগ একমত নই। তবে আমি বেশিরভাগ সময়ই তার সাথে একমত হই। আর আমি প্রায় সব সময় হ্যারিসের সঙ্গে একমত নই।’
তিনি লেখেন,কোনো রাজনীতিবিদই সবকিছু ঠিকঠাক করতে পারে না। আমরা যারা ট্রাম্পের ত্রুটিগুলো যথেষ্ট পরিষ্কার দেখতে পাই এবং সেগুলো স্বীকার করার জন্য যথেষ্ট সৎ, তাদের জন্য প্রশ্ন হলো আমাদের কাছে তার নীতিগুলো ভালো নাকি তার প্রতিপক্ষের। ট্যাক্স, খরচ, মুদ্রাস্ফীতি, অভিবাসন, জ্বালানি ও জাতীয় নিরাপত্তা থেকে অন্যান্য প্রার্থীরা কয়েক মাইল দূরে রয়েছে। তাই স্পষ্টতই ট্রাম্প ভালো পছন্দ।
বাইডেন ও হ্যারিসের এজেন্ডা বিশ্বকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন নিকি হ্যালি। তিনি লিখেন, আমাদের দক্ষিণ সীমান্ত আমাদের সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা হুমকি। বাইডেন ও হ্যারিস একে নাটকীয়ভাবে আরও খারাপ করে তুলেছে। আফগানিস্তানে তাদের পরাজয় শুধুমাত্র একটি নতুন সন্ত্রাসী রাষ্ট্র তৈরি করেনি, এটি দুর্বলতার ইঙ্গিতও দেয় যা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের সূত্রপাত করেছে।
ইরানের প্রতি তাদের সন্তোষজনক মনোভাব সেই স্বৈরাচারী শাসনকে সমৃদ্ধ করেছে এবং তাদের প্রক্সিবাহিনীগুলোর মাধ্যমে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছে। আর চীনের প্রতি প্রশাসনের দুর্বলতা কমিউনিস্ট শক্তির সম্প্রসারণকে বাধা দেয়ার জন্য কিছুই করতে পারেনি। মাত্র চার বছরে বাইডেন ও হ্যারিসের ব্যর্থতা আমাদের এই বিশ্ব দিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ভিন্ন হবে যুক্তি দিয়ে নিকি বলেন, ‘এটি নিখুঁত হবে না। কিন্তু আমি ট্রাম্পের সঙ্গে একমত যে, আমাদের ট্যাক্স কম রাখতে হবে, আরও বেশি কমাতে হবে। আমি একমত যে আমাদের বিশেষ-সুদের হ্যান্ডআউটে ট্রিলিয়ন ডলার ফিরিয়ে আনতে হবে। আমেরিকান জ্বালানির প্রসারণের সঙ্গেও আমি একমত।’
কিউএনবি/আয়শা/০৪ নভেম্বর ২০২৪,/বিকাল ৫:১৮