বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন

কাগজে ১১১ বাস্তবে ৫০০ কোটি

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৪৬ Time View

ডেস্ক নিউজ : সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) ও তার পরিবারের নামে ১১১ কোটি ৬০ লাখ টাকার বেশি সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬০ কোটি টাকা জমা রাখার প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের দালিলিক মূল্য শত কোটি টাকা, বাস্তবে মূল্য হবে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা।

গতকাল দুদক সূত্র জানায়, অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে মুস্তফা কামাল, তার স্ত্রী কাশমেরী কামাল ও সন্তানদের নামে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকসহ শতাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন, রাজউক, ঢাকা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, গণপূর্ত অধিদপ্তর, রেজিস্ট্রার অফিস ও ভূমি অফিসসহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে নথিপত্র তলব করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফার নামে ঢাকার জোয়ারসাহারা, বাড্ডা, উত্তরা ও কুমিল্লায় জমি, বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা, শেয়ারে বিনিয়োগ এবং সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ ২০ কোটি ৪৮ লাখ ২৫ হাজার ২০৬ টাকা বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া লোটাস কামাল প্রপার্টিজ, অরবিটাল এন্টারপ্রাইজসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ, তার স্ত্রী কাশমেরী কামালের নামে কুমিল্লা, ঢাকার গুলশান ও বাড্ডাসহ বিভিন্ন জায়গায় জমি, প্লট ও ফ্ল্যাট রয়েছে। তার স্ত্রী কাশমেরী কামালের নামে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা, শেয়ারে বিনিয়োগ এবং সঞ্চয়পত্রে আরও ৩৮ কোটি ৮৭ লাখ ৭৮ হাজার ৫০৬ টাকা, তার স্ত্রীর নামে লোটাস কামাল প্রপার্টিজ এবং সৌদি বাংলাদেশ কন্ট্রাকটিং কোং লিমিটেডসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে ২০ কোটি ৯১ লাখ ১০ হাজার ৯৭২ টাকার বিনিয়োগ, তার নামে তিনটি গাড়ির সন্ধান মিলেছে। এসব সম্পদের বাইরেও মুস্তফা কামালের দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলেও প্রাথমিক তথ্য রয়েছে। সূত্র জানায়, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও তার পরিবার, সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী, লে. জেনারেল (অব.) মাসুদউদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক এমপি বেনজীর আহমেদের প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বাধীন একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে সরকার নির্ধারিত অর্থের চেয়ে অতিরিক্ত ফি বাবদ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। চক্রটি চাকরির ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্রমিকদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে, যার সঙ্গে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। মাত্র দেড় বছরে তাদের মালিকানাধীন রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সাড়ে ৪ লাখের মতো লোক পাঠিয়ে ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সবমিলিয়ে ওই সময়ে ২৪ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হলেও অতিরিক্ত ফি হিসেবেই প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা নেওয়া হয়। এত শ্রমিক পাঠালেও অনেকেই কাজ করার অনুমতি না পাওয়ায় ফেরত আসতে বাধ্য হয়েছেন। এমন অনিয়মসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুদকের উপপরিচালক নুরুল হুদার নেতৃত্বে তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম কাজ করছে।

কিউএনবি/অনিমা/২৭ অক্টোবর ২০২৪,/সকাল ১০:৫২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit