যশোরের থেকে ফিরে রঞ্জিৎ মল্লিক : যশোরের চাঁদ এগ্রো লিমিটেড ফ্যাক্টরির চাকরি হারানো দুইশতাধিক পরিবারের মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে পুড়ে যাওয়ায় কাজ না থাকায় এ পরিবার গুলো মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ফ্যাক্টরি চালু না থাকায় বিভিন্ন পদে দুইশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাকুরি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাদের কর্ম না থাকায় তাদের পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
একটি সূত্রে প্রকাশ এ ঘটনায় চাঁদ এগ্রো লিমিটেড ফ্যাক্টরির পক্ষ থেকে যশোর মডেল থানার একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে গত পাঁচ আগস্ট সন্ধ্যায় দুষ্কৃতিকারীরা দেশীয় অস্ত্র লাঠি সোঁটা নিয়ে চাঁদ এগ্রো লিমিটেড ফ্যাক্টরিতে প্রবেশ করে। এ সময় তারা ফ্যাক্টরির অফিস বিল্ডিং, কম্পিউটার, আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
তারা ফ্যাক্টরিতে উৎপাদিত প্রায় ৫ লাখ পিচ ডিম, খাদ্যসহ অন্যান্য মালামাল ভাংচুর করে অগ্নি সংযোগ করে। ঝিকরগাছা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত দশটা থেকে ২টা পর্যন্ত বিরামহীন ভাবে চেষ্টা করে অগ্নি নির্বাপন করেন। অগ্নি সংযোগের ফলে ফ্যাক্টরির কন্ট্রোল রুম, ফিড ফ্যাক্টরি সমস্ত উৎপাদিত পণ্য ও পণ্যের কাঁচামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
উল্লেখ্য চলতি বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যশোরের বিভিন্ন স্থাপনায় ভাংচুর-লুটপাট ও অঙ্গিসংযোগ করেন দুষ্কৃতিকারীরা। এ সময় যশোরের ধোপাখোলা নিমতলা বাজারের চাঁদ এগ্রো লিমিটেড এর ফ্যাক্টরিতে ভাংচুর ও অঙ্গিসংযোগ করে। এ আগুনে ফ্যাক্টরির পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
চাকরি হারানো কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, চাকরি না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারা জানান তাদের আয়ের পথ ছিলো কেবল মাত্র চাঁদ ফিডের ফ্যাক্টরি। ফ্যাক্টরি কন্ধ থাকায় আয় রোজগার নেই। ফলে বর্তমানের দ্রব্যমূল্যের এ বাজারে চাকুরি না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে ব্যাপক অনাটনের মধ্যে পড়েছি।
কিউএনবি/আয়শা/১৭ অক্টোবর ২০২৪,/রাত ৯:৫০