ডেস্ক নিউজ : মীযান মুহাম্মাদ হাসান আর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তাকে ভিক্ষার পরিবর্তে কোনো কাজ করার প্রতি উৎসাহিত করেছেন। সামনে আমরা বর্ণনাটি উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ। গাড়িতে উঠেছেন, ঠিক এই মুহূর্তে একজন এসে হাত পাতলেন-এমন কিছু পরিস্থিতির শিকার বিভিন্ন জায়গায় আমাদেরকে প্রায়ই হতে হয়। অনেকেই সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। সাধ্য মতন উপকার করার চেষ্টা করেন। আবার অনেকে বিব্রতবোধ করেন। কেউবা বিপদে পড়ে লজ্জায় কিছু না কিছু দিয়ে অংশ গ্রহণ করেন। সম্ভ্রান্ত দীনদার শ্রেণির লোকজন এমন অবস্থায় নিজেদেরকে অপমানিত বোধ করেন।
হে আদম সন্তান! তোমার প্রয়োজন অতিরিক্ত সম্পদ যদি তুমি (সৎকাজে) খরচ করো, তবে তা তোমার জন্য কল্যাণকর। কিন্তু তুমি যদি তা গচ্ছিত রাখো, তবে তা তোমার জন্য অকল্যাণকর। (অর্থাৎ, কোনো কাজে লাগল না) অবশ্য প্রয়োজন পরিমাণ সম্পদ জমা রাখলে তাতে কোনো দোষারোপ করা হবে না। আর তোমার পোষ্যদের হতেই (দান-সাদকা করা) আরম্ভ করো। নীচের হাত হতে উপরের হাত উত্তম। (সুনানে তিরমিজি)
সাহাবি হাকীম ইবনে হিযাম রা.এর সূত্রে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,উপরের হাত (তথা দানকারীর হাত) নীচের হাত (দানগ্রহণকারীর হাত) অপেক্ষা উত্তম। প্রথমে তাদেরকে দিবে যাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তুমি বহন করো। আর প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ হতে দান-সাদকা করা উত্তম। যে ব্যক্তি (পাপ ও ভিক্ষা করা হতে) পবিত্র থাকতে চায়, আল্লাহ তাকে পবিত্র রাখেন এবং যে পরমুখাপেক্ষিতা হতে বেঁচে থাকতে চায়, আল্লাহ তায়ালা তাকে স্বাবলম্বী করে দেন। (সহিহ বুখারি)
উপর্যুক্ত হাদিস দুটি আমাদেরকে দান-সাদকা করতে উদ্বুদ্ধ করে। দান গ্রহণের পরিবর্তে খরচ করতে, দান করতেই বরং শিক্ষা দেয়। আর প্রয়োজনে সামান্য কিছু সম্পদ সঞ্চয় করার প্রতিও উৎসাহিত করে। যা আমাদের জন্য উপকারী হবে। প্রয়োজনে কাজে আসবে। তবে আমরা কেন মানুষের কাছে হাত পেতে নিজেদেরকে ছোট করব? ইসলাম ও মুসলমানদের সম্পর্কে মন্দ ধারণা তৈরি করতে কেন সাহায্য করব? আর হাদিসে যে ব্যাক্তি নিজেকে পবিত্র রাখতে চায়। তার জন্য স্বচ্ছলতার ঘোষণাও করা হয়েছে। তবে কেন আমরা মানুষের কাছে সাহায্য চাইব?
তোমার ঘরে কী আছে? লোকটি বলল, একটি কম্বল আছে। রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সেটি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে একটি কুঠার কিনে নাও। তারপর তা দিয়ে গাছ কেটে তোমার জীবিকা নির্বাহ করো। (সুনানে তিরমিজি)’হাদিসের শিক্ষা হলো, আমরা পরিশ্রম করে অর্থ সম্পদ উপার্জন করব। ভিক্ষা করে, মানুষের কাছে হাত পেতে নিজেকে ছোট করব না। প্রত্যেকেই সাধ্য অনুযায়ী দান-সাদকা করতে চেষ্টা করব। নিজেরা দাতা হতে চেষ্টা করব। আমরা গরিব দুঃখী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াব। তাদেরকে কর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করার জন্য উৎসাহিত করব। কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করে দেব।
কিউএনবি/আয়শা/০৭ অক্টোবর ২০২৪,/রাত ৮:৩৪