ডেস্ক নিউজ : শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।হামলায় আহতদেরর মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্না ও তাদের সন্তান এবং সময় টিভির ক্যামেরা পার্সন এইচ এম মানিক। এ সময় মানিকের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বিকেল ৩টায় শহরের বেদগ্রামে পথসভা শেষে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের গাড়িবহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়া জনসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ও এস এম জিলানী। গাড়িবহরটি ঘোনাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের একদল সশস্ত্র মানুষ গাড়ির গতিরোধ করে ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর করা হয় জিলানীর গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি।
এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিলে পিছু হটে যায় তারা। কিছুক্ষণ পর আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা সংঘটিত হয়ে আবারও হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে কমপক্ষে ২০ জনকে। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে তাৎক্ষণিক গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় গুরুতর আহত অবস্থায় এস এম জিলানীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
ঘটনার সময় সেখানে পুলিশ দেখা না গেলেও ঘটনাস্থল থেকে বেশ খানিক দূরে পুলিশের অবস্থান দেখা যায়। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। চরম ভোগান্তিতে পড়েন ওই সড়কে চলাচলকারীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কিউএনবি/আয়শা/১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/রাত ৮:০২