আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০২০ সালের ১৩ জুলাই ম্যানহাটনের লোয়ার ইস্ট সাইডের হিউস্টন স্ট্রিটে নিজ ফ্ল্যাটে নৃশংসভাবে খুন হন ফাহিম সালেহ। সালেহ’র চার লাখ মার্কিন ডলার চুরি করেছিলেন তার ব্যক্তিগত সহকারী হাসপিল। সেই সময় তার বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর।
অর্থ চুরির ঘটনা লুকাতে তাকে হত্যার পর ইলেকট্রিক করাত দিয়ে তার দেহ টুকরো টুকরো করেন তিনি। এই ঘটনার পরপরই হাসপিলকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে বিচার শুরু হয়। প্রায় চার বছরের শুনানির পর চলতি বছরের ম্যানহাটন সুপ্রিম কোর্টের জুরিবোর্ড হাসপিলকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
আদালতে হাসপিল স্বীকার করেন, তিনি তার প্রেমিকাকে আকৃষ্ট করার জন্য নানা উপহার কিনতে ফাহিমের অর্থ চুরি করেছিলেন। পরে সেই ঘটনা আড়াল করতেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। তবে বিচারক হাসপিলের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিন মাস পর মঙ্গলবার বিচারের রায় ঘোষণা করা হয়। এদিন আদালতে প্রায় এক ঘন্টা যুক্তিতর্ক শেষে হাসপিলকে ৫০ বছরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মত দেয় জুড়ি বোর্ড। তবে পরে ১০ বছর কমিয়ে তাকে ৪০ বছরের সাজা দেয়া হয়।
ফাহিম সালেহ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ও নেপালের জনপ্রিয় রাইড কোম্পানি পাঠাও-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। কোম্পানিটির মূল্য ছিল ১০ কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৮ সালে ফাহিম সালেহ নাইজেরিয় মোটরবাইক ট্যাক্সি কোম্পানি গোকাডার সাথে কাজ শুরু করেন, যার লক্ষ লক্ষ ডলার তহবিল ছিল এবং দেশে প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।
২০২০ সালে লাগোসের কর্তৃপক্ষ মোটরবাইক ট্যাক্সি নিষিদ্ধ করার পর কোম্পানিটি একটি ধাক্কা খায়। ফাহিম কলম্বিয়ার পিক্যাপ নামে আরেকটি রাইড শেয়ারিং কোম্পানিতেও বিনিয়োগ করেন। বন্ধুরা তাকে ‘উন্নয়নশীল বিশ্বের ইলন মাস্ক’ বলে ডাকতেন।
সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট
কিউএনবি/আয়শা/১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/রাত ১১:১৯