ডেস্ক নিউজ : রাজধানীর বাড্ডা থানায় করা সুমন সিকদার হত্যা মামলায় গ্রেফতার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ। বুধবার মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার সাব-ইন্সপেক্টর রেজাউল আলম এই রিমান্ড আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালতে তার উপস্থিতিতে এই রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হবে।
রিমান্ড আবেদন বলা হয়, গত ১৯ জুলাই ভুক্তভোগী সুমন সিকদার তার কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে যান। বেলা ১২টার দিকে উত্তর বাড্ডার ফুজি টাওয়ারের উত্তর পাশে প্রগতি সরণি রাস্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার মিছিল চলছিল। ওই সময় আসামিরা উল্লিখিত স্থান ও আশপাশে অবস্থান নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমন ও তাদের হত্যার লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সুমন সিকদার নিহত হন।
আবেদনে আরও বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি ড. তৌফিক- ই-ইলাহী চৌধুরী ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার তথ্য পাওয়ায় গ্রেফতার করা হয়। আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। এমতবস্থায় মামলা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে আরও ব্যপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এজাহার বর্ণিত সহিংস ঘটনার বিষয়ে এবং এজাহারনামীয় অন্যান্য পলাতক আসামিদের ঘটনায় সম্পৃক্ততা ও বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আসামির ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ড একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে ডিবির একটি টিম তৌফিক-ই-ইলাহীকে তাকে আটক করে। জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের উত্তর পাশে গুলিতে নিহত হন মো. সুমন সিকদার। এ ঘটনায় তার মা মাসুমা বাদী হয়ে গত ২০ আগস্ট হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৯ জনকে আসামি করা হয়।
কিউএনবি/আয়শা/১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/বিকাল ৪:৩১