মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৩ অপরাহ্ন

ত্রিপুরার পানিতে ডুবল কুমিল্লার ৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪
  • ৭৯ Time View

ডেস্ক নিউজ : বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেল ৫ টা পর্যন্ত গোমতি নদীর পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গোমতি নদীর দুইপাশের চর ডুবে গেছে। এতে চরে থাকা সহস্রাধিক পরিবারের ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। তাছাড়া অন্তত ৪ হাজার হেক্টর চরের জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। রাত থেকে  পানি বাড়তে থাকায় গোমতীর দুকূল ছাপিয়ে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গোমতী পাড়ের বাসিন্দারা জানান, গেল ১০ বছরের বেশি সময় পর এ বছরই গোমতীর পানি এত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। চরের ভেতর সহস্রাধিক পরিবার বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। বুধবার বিকেল পর্যন্ত কুমিল্লা গোমতীনদীর আদর্শ সদর উপজেলার বানাশুয়া,পালপাড়া, রত্নবতী, টিক্কারচর,জালুয়াপাড়া, বুড়িচং উপজেলার ভান্তি, কিংবাজেহুড়া, শিমাইলখাড়া,পূর্বহুড়া,নানুয়ারবাজার, মিথলাপুর, গোবিন্দপুর, ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার মালাপাড়া এলাকায় ঘুরে দেখা যায় গোমতীর তীর ঘেঁষে পানির ঢেউ। চরের হাজার একর সবজি ক্ষেত ডুবে গেছে। চরের বাসিন্দারা বাড়িঘর ছেড়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।

বিশেষ করে কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের কিং বাজেহুড়া গ্রামটি সকাল থেকে পানিতে তলিয়ে গেছে। গ্রামটির ৪শত পরিবারের লোকজন ঘরে আটকে আছে। ওই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। প্রায় ১৬শ’ শতক ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে গ্রামের মানুষের জীবিকা নির্বাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বলেন, ‘এর আগেও আমরা এমন বিপদে পড়েছি। কিন্তু শতবার বলার পরও চেয়ারম্যান বা উপজেলা প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। গোমতি নদী গাঁঘেষা আমাদের গ্রামে নেই কোনো আশ্রয়ন কেন্দ্র। এখন সবাই ঘরবন্দি করে। কোনো খাবারে ব্যবস্থা নাই, ওষুধ নাই, পানি নাই। এখন পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন থেকে কেউ আসে নাই।’


টিক্কারচর এলাকা থেকে চানপুর ব্রিজ পর্যন্ত শহর রক্ষা বাঁধে শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। চরের ভেতর পানি গলা সমান হয়ে গেছে। ঘর থেকে প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই বের করতে পারোন নি। কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা জানান, তিনি গতকাল রাত থেকে গোমতীর বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরেছেন। বিভিন্ন এলাকায় গোমতীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই সব এলাকায় স্থানীয়রা মাটি ও বালুর বস্তা দিয়ে বাঁধ রক্ষায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন।

এদিকে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে গোমতী ছাড়াও কাকড়ী,পাগুলি ও সালদানদী দিয়ে ভারত থেকে পানি আসা অব্যহত রয়েছে। এতে করে কুমিল্লায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেল ৫ টা পর্যন্ত গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন  কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবদুল লতিফ।

তিনি বলেন, ‘আমরা সাধারণত ১১.৩০ মিটার বিপৎসীমা নির্ধারণ করি। বর্তমানে গোমতি নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে ১১.২৯ মিটারে। আমাদের কর্মকর্তারা ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলোতে কাজ করছে। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছি। তার সাথে আর্মি, বিজিবি ও আমাদের সহায়তা করছে।’

কুমিল্লা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছৈয়দ আরিফুর রহমান জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা থেকে বুধবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী আরও ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২১ অগাস্ট ২০২৪,/রাত ১০:০৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit