তিনি বলেন, ‘আমরা আরজি কর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছি।’মূলত, চিকিৎসকেরা যাতে আবার কাজে ফিরতে পারেন সে জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আদালত। শুনানিতে বৃহস্পতিবারের মধ্যে সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সেইসঙ্গে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় ৭ সদস্যের জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের ওপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বলপ্রয়োগ করা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
এছাড়া চিকিৎসক হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা এবং পরিবারকে মরদেহ দেখতে বাধা দেয়ায় আরজি কর হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আদালত। প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, মামলার পরবর্তী শুনানি হবে শুক্রবার।
গত ৮ আগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় একজন নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় ভারতজুড়ে নারীদের নিরাপত্তা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসনের ব্যথর্তার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠে। সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।
নাগরিক সমাজ থেকে পেশাজীবী সংগঠন, চিকিৎসক ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও তুমুল প্রতিবাদ আছড়ে পড়ছে কলকাতায়। এই প্রতিবাদের অংশ হিসেবে অনেক হাসপাতালের চিকিৎসকের একাংশ কর্মবিরতিও ঘোষণা করেছেন।
সূত্র: এনডিটিভি, আনন্দবাজার