রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
পুতিনের লাইভ ভাষণে প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব সাংবাদিকের ইরানে নতুন হামলার বিষয়ে ট্রাম্পকে জানাবেন নেতানিয়াহু গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ৯৪ ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে বোমা ফাটালেন রাধিকা আপ্তে ট্রেনে ধর্ষণচেষ্টা, ভারতে সেনা সদস্য গ্রেফতার আমি থেমে থাকি না: শাকিব খান রাতারাতি মার্কিন বিচার বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে উধাও এপস্টেইনের ১৬ ফাইল গাজা যুদ্ধবিরতি: সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান চার দেশের যেভাবে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করছে ইসরায়েল থাই সীমান্ত সংঘর্ষে কম্বোডিয়ায় বাস্তুচ্যুত পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ

আমার বিশ্বাস তারেক রহমান আগামীর প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪
  • ৬৯ Time View

ডেস্ক নিউজ : ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। সেই আন্দোলনে শুরু থেকেই সোচ্চার ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। এ আন্দোলন ঘিরে কারাভোগ ও রিমান্ডেও যেতে হয়েছে তাকে। পরে শেখ হাসিনার পতনের পরদিন ৬ আগস্ট জামিন পান ব্যারিস্টার পার্থ।  

এদিকে ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দলগুলো রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও বিএনপি সমর্থিত দলগুলো সক্রিয় রয়েছে। দেশের রাজনীতিতে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে যুগান্তরের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মানিক রাইহান বাপ্পী।   

যুগান্তর: অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আপনার প্রত্যাশা কী? ব্যারিস্টার পার্থ: সত্যি কথা বলতে এই সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। তবে প্রত্যাশা বাস্তবায়নে আমাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। এই সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে তো কারও কোনো প্রশ্ন নেই। যারা এই সরকারে তারা ব্যক্তিগতভাবে সফল মানুষ। যেহেতু তারা হঠাৎ করে আসছে সেহেতু তাদের সুযোগ, সাহায্য ও সময়ও দিতে হবে। 

যুগান্তর: অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন হওয়া উচিত? 

ব্যারিস্টার পার্থ: তারা তো শুধু সুষ্ঠু নির্বাচনের কাজ হাতে নেয়নি। তারা যেহেতু রাষ্ট্র মেরামতের পরিকল্পনা করছেন, কতটুকু ও কিভাবে সংস্কার করবেন- এখন পর্যন্ত তারা তো কোনো গাইডলাইন দেননি। বিশেষ করে রাষ্ট্র মেরামতের কী কী গুরুত্বপূর্ণ কাজে হাত দেবেন ও কত সময় উনাদের দরকার তখন বলা যাবে কতদিন মেয়াদ হওয়া উচিত।  

বিশেষ করে ১৭ বছর ধরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এটা মানুষের তীব্র আকাঙ্ক্ষা আছে। আমাদেরও আকাঙ্ক্ষা আছে। মূল কথা হচ্ছে, এই সরকারের সময়টা নির্ধারণ করবে তারা কী ধরনের রাষ্ট্র মেরামত করতে চান। 

‘দুই মন্ত্রীর কারণে ছাত্র আন্দোলন সমাধান হয়নি’, রিমান্ডে আনিসুল   

যুগান্তর: মন্ত্রীদের পাশাপাশি শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান গ্রেফতার হয়েছেন; যার দুর্নীতি নিয়ে আপনি সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিলেন, তাকে দরবেশ খেতাব দিয়েছিলেন। 

ব্যারিস্টার পার্থ: অবশ্যই দেশের মাটিতেই সালমান এফ রহমানের বিচার হবে। দরবেশের বিচার বাংলার মাটিতেই হতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি তিনিই ধ্বংস করেছেন। ইকোনমিক সিস্টেমও ধ্বংস করেছেন। দেশে যে গণহত্যা হয়েছে তার সঙ্গে তিনি সরাসরি জড়িত।  

যুগান্তর: স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্র উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকার যেসব কাজ করছে সেটাকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন? 

ব্যারিস্টার পার্থ: সরকার কিছু কাজ শুরু করেছে। দুর্নীতি নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে যেসব কাজ শুরু করেছে সেগুলো অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। আমি মনে করি, আরও পথ বাকি আছে।  

যুগান্তর: নিকটবর্তী সময়ে বিএনপির সঙ্গে জোটে যাবেন কিনা?

ব্যারিস্টার পার্থ: এই মুহূর্তে এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারি না। এগুলো বিষয় সামনে দেখা যাবে। নির্বাচন কোন দিকে যাচ্ছে, দেশের পরিস্থিতি কী হচ্ছে। সময় এলে বোঝা যাবে। 

যুগান্তর: বাংলাদেশে ভবিষ্যতে কাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান? 

ব্যারিস্টার পার্থ: আগামীর প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেটা জনগণ ঠিক করবেন। আমার ধারণা, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক রহমানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।  

আমি মনে করি, জনগণের যেটা ইচ্ছা সেটাই আমাদের ইচ্ছা হবে। আমরা চাই একটা সুষ্ঠুধারার রাজনীতি থাকুক। 

যুগান্তর: আওয়ামী লীগের ভবিষ্যতে কী হতে পারে? 

ব্যারিস্টার পার্থ: এটা নির্ভর করবে তাদের কর্মপন্থা ও ভবিষ্যত দিনগুলোতে তাদের ভূমিকার ওপর। বর্তমান আওয়ামী লীগের যে পরিস্থিতি তাতে তারা ধ্বংসও হয়ে যেতে পারে। আবার ভালো নেতৃত্ব নিয়ে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতেও পারে। তবে যে হত্যা ও গণহত্যার দায়ভার আওয়ামী লীগের ওপর পড়বে তাদের মানুষের মনের ভেতরে জায়গা করে নিতে আরও বহু বছর সময় লাগবে। 

আমি নীতিগতভাবে মনে করি, এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার নেই। 

যুগান্তর: সদ্যবিদায়ী আওয়ামী সরকার পতনের কয়েক দিন আগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছে। এটাকে কিভাবে দেখেন? 

ব্যারিস্টার পার্থ: আওয়ামী লীগ সরকার মনে করেছিল, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলে তারা কর্মসূচি দেবে। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে জামায়াতি আন্দোলন হিসেবে ট্যাগ লাগানোর চেষ্টা করবে; কিন্তু তাতে তারা সফল হয়নি।

যুগান্তর: তাদের কি নিষিদ্ধ থাকা উচিত, নাকি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়া উচিত?    

ব্যারিস্টার পার্থ: রাজনৈতিক দল কখনো মানুষের মন থেকে নিষিদ্ধ হয় না। সেই ধরনের কোনো কাজ না করলে কলমের খোঁচা দিয়ে কোনো দল নিষিদ্ধ হয় না।  

যুগান্তর: মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

ব্যারিস্টার পার্থ: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ।

 

কিউএনবি/আয়শা/২০ অগাস্ট ২০২৪,/রাত ৮:২৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit