২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পাক্কালে কলেজ ক্যাম্পাসে ও কলেজ রোড পয়েন্টে,ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা, পুলিশ দিয়ে মামলা দায়ের করে, সন্ত্রাসী হামলা চালায়।কলেজ রোড এলাকায় এক নৈরাজ্য’র বহি প্রকাশ ঘঠে। ছাত্রদল নেতা, মোবারক হোসেন লুপ্পাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা চালায়,তারঁ পরিবারের ওপর বর্বরতার হামলা করে,পরে তাকে না পেয়ে তাঁর ভাইয়ের ওপর হামলা করে, হাত কেঠে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা । ওই সময়কাল থেকে ছাত্রলীগ দাবি করা নেতা কর্মীরা এক রাজত্ব কায়েম করতে থাকে, ছাত্রদলের প্রত্যােক শিক্ষার্থীদের ওপর মামলা দায়ের করে আসামী বানিয়ে তাদেরকে কলেজ ক্যাম্পাসে নিষেধ আজ্ঞা প্রদান করা হয়। তাদের যেখানে পেয়েছে, সুযোগ বোঝে তাদের’কে পিটিয়েছে, যখম করেছে, অনেকেই মাদক, নারী শিশু মামলা দিয়ে, জেল কাঠিয়েছে। বিভিন্ন ভাবে তাদেরকে দল থেকে বহিস্কৃত হওয়ার ও নির্দেশ দিয়েছিল ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা । এতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রদল নেতা কর্মীদের, নিজ ঘরে হামলা চালায় , ঘরে না রাখার হুমকি পদর্শন করে, নেতা কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের । প্রতি নিয়ত পুলিশ দিয়ে তাদের বাসায় তল্লাসী করা হয়েছে ,এসময় নেতা কর্মীরা তাদের আশপাশের সহযোগী বন্ধুদের বাড়িতে থেকে আশ্রয় নিয়ে ছিলেন। তাদেরকে প্রতিটা রাত আতঙ্কে থাকতে হয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সালের সময়েকালে কলেজ রোডের রাস্তার পাশে রেবতী টি স্টলে বিএনপি’র নেতা কর্মীদের বসার স্হান ছিলো, পরে ওই স্থান গুলো দখল করে, নানান অপকর্ম লিপ্তের কান্ডারি তৈরি করে, আওয়ামী লীগের, পদবিহীন ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা, এদেরকে সেল্টার প্রদান করেন,এদের মধ্যে ছিলেন, মুমিন হোসেন সোহেল, সাবেক সভাপতি, উপজেলা ছাত্রলীগ, উপজেলা ছাত্রলীগের, সাবেক,সাধারণ সম্পাদক, দেলোয়ার হোসেন রাহিদ, পরে এর দাপটে ছিলেন,কলেজ ছাত্রলীগের,সাবেক সভপতি,সাবের আহমদ, ছাত্রলীগের সাবেক, সভাপতি,মসুদুর রহমান মসুদ। পাতি নেতারা বেশি করেছে যার মধ্যে, রাহিদের ভাই, সরোয়ার হোসেন শাওন, ওরফে কানা শাওন,এএস.এম.সুমেল, রাহিদের ছোট ভাই রাজন, হিন্দুদের মধ্যে ছিলেন রাজুদেব রিটন,কাওসার,সুজাত,অংকুর,সম্রা
বিএনপি নেতাদের আত্মীয় স্বজনেরা যখন কলেজে যাতায়াত করতো,বিভিন্ন কায়দায়, তাদের পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন করা হত, মোঠর সাইকেল ভাঙছুর, চুরি বাস দার করে টাকা আদায়,ইপ্টেজিং সহ নানান নির্যাতন চালানো হতো। ছাত্রলীগ দাবি করা নেতারা ওই সময়কালে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে, পিস্তল দিয়ে কলেজে প্রবেশ করতেন।শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের ২০০৫ থেকে ২০০৭ সেশনের ছাত্রদল নেতা,ডালিম আহমেদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম, ইমরান আহমেদ,আরিফ আমিন, মরহুম মামুনুর রশিদ চৌধুরী অপু, কাওছার আহমেদ সহ আরো অনেকেরই ওপর মামলা দায়ের করে, তাদেরকে ঘর ছাড়াতে হয়েছে । এদের মধ্যে অনেকেই জেল কেঠেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, ওইসময় কাল অবধি দেশের জন্য, দলের আদর্শকে বুকে লালন করে এখনো অবধি ঠিকে আছেন।