বাদল আহাম্মদ খান ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার নাম করে ১৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক রেলওয়ে কর্মচারির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত এক আদেশে আসামীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
মামলার আসামী হলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (পূর্ব) এর দপ্তর এ এমভিবি অ্যাসিসট্যান্ট (খালাসী) পদে কর্মরত মো. বেলাল হোসেন। মামলার বাদী আখাউড়া উপজেলার কুড়িপাইকা গ্রামের বাসিন্দা ফ্রান্স প্রবাসী এস.এম ইনামুল হক ভুইয়া।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, পূর্ব পরিচয়ের রেশ ধরে ২০২২ সালে এক আলাপচারিতায় কক্সবাজার, আখাউড়া ও গঙ্গাসাগর এলাকায় দোকান বরাদ্দ করিয়ে দেওয়ার কথা বলেন খালাসী বেলাল হোসেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি ১৭ লাখ টাকা নেন। পরবর্তীতে দোকান বরাদ্দের কিছু কাগজপত্রও ইনামুল হক ও তার মায়ের নামে পাঠান। প্রকৃতপক্ষে এ ধরণের কোনো চিঠি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইস্যু করেনি। বিষয়টি জানতে পেরে বেলাল হোসেনের কাছে টাকা ফেরত চান ইনামুল হক। কিন্তু বেলাল হোসেন এতে রাজি হননি। এক পর্যায়ে দেড় লাখ টাকার একটি চেক পাঠান। পাওনার তুলনায় এ টাকা কম বিধায় ইনামুল হক ওই টাকা তুলতে রাজি হননি।
ইনামুল হক বলেন, ‘বেলাল হোসেন আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। মিথ্যা কথা বলে টাকা নিয়েছেন। এরপর আবার কিছু ভুয়া কাগজপত্র পাঠিয়েছেন। একবার দেড় লাখ টাকার চেক পাঠান। পরবর্তীতে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় বাধ্য হয়ে মামলা দায়ের করেছি।’ এ সংক্রান্ত কিছু ডকুমেন্টও এ প্রতিবেদককে পাঠিয়েছেন ইনামুল হক। এ বিষয়ে বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমি ১৭ লাখ টাকা নিয়ে থাকলে প্রমাণ দেখাক। সেটা তিনি পারবে না শতভাগ নিশ্চিত। ওনি একটি কাজের জন্য আমাকে দেড় লাখ টাকা দিয়েছিলেন। কাজ না হওয়ায় সেটা প্রথমে চেকের মাধ্যমে দেই। ওনি চেক উঠাননি বলে নগদে দিয়ে দেই। এখন ওনি আমার চেক ফেরত দিচ্ছেন না। ওনার সব দাবি মিথ্যা। আদালতে মামলা করে থাকলে আমি সেটার মোকাবেলা করবো।’