বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে যেতে চেয়েছিলেন ফেনী-২ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর সহযোগি মো. ফরিদ মানিক প্রকাশ পিএস মানিক। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাকে যেতে দেয়নি ইমিগ্রেশন পুলিশ। কয়েকঘন্টা ইমিগ্রেশন পুলিশ কার্যালয়ে বসিয়ে রেখে তাকে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
অবশেষে পিএস মানিকের বিরুদ্ধে ফেনী থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। ওই হত্যা মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। তবে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মানিক ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে। ফেনী, আখাউড়া থানা ও ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে আসেন মো. ফরিদ মানিক। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাঁকে আটক করে। দিনভর ইমিগ্রেশন ইনচার্জের কক্ষে বসিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তাঁর বিষয়ে অবগত করেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। একপর্যায়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাঁকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ফেনীর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রুহুল আমীন জানান, ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপাল এলাকায় সংঘর্ষের সময় মো. সবুজ নামে এক ভ্যানচালক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ১২ আগস্ট সোমবার রাতে নিহত সবুজের ভাই মো. ইউসুফ বাদী হয়ে ৬৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মোহাম্মদ ফরিদ মানিককে আসামী করা হয়। আখাউড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহিউদ্দিন মঙ্গলবার বিকেলে জানান, ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রাতেই ফেনী সদর থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়।
তবে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে পাঠানোর কাগজপত্রে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম জানান, ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
কিউএনবি/আয়শা/১৩ অগাস্ট ২০২৪,/রাত ১১:৫০