মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন

গুনাহের সাক্ষী ও প্রভাব

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০২৪
  • ৭৭ Time View

ডেস্ক নিউজ : গুনাহ দুই প্রকার। সগিরা গুনাহ ও কবিরা গুনাহ। আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) যেসব কাজ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন এবং যেসব কাজের জন্য শাস্তির বিধান অথবা আল্লাহর ক্রোধের ঘোষণা আছে, সেগুলোকে কবিরা গুনাহ বলা হয়। এমন না হলে তাকে সগিরা গুনাহ বলা হয়।

কবিরা গুনাহ কোনো ইবাদতের দ্বারা মাফ হয় না—এর জন্য তাওবা করতে হয়। আর সগিরা গুনাহ নেক আমল দ্বারাও মাফ হয়ে যায়। তবে সগিরা গুনাহও যদি বেপরোয়া ও ঔদ্ধত্যের সঙ্গে বারবার করা হয়, তাহলে তাও কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।
 
গুনাহের প্রভাব

গুনাহের প্রভাব হলো—তা যেকোনোভাবে গুনাহগারকে চিন্তিত ও অশান্ত করে রাখে।

গুনাহ করার প্রথম পর্যায়ে অনেকে মনে করে, আজ এ গুনাহ করে ফেলি, তারপর ছেড়ে দেব। পরে তাওবা করে ফেলব। কিন্তু শয়তানের প্ররোচনায় সে গুনাহ ছাড়া সহজ হয়ে ওঠে না, দিন দিন আরো মারাত্মক গুনাহে লিপ্ত হয়। গুনাহ করতে করতে এক পর্যায়ে গুনাহ করা অভ্যাসে পরিণত হয়।

তখন চাইলেও সহজে তা থেকে মুক্ত হওয়া যায় না। গুনাহ ক্যান্সারের মতো। ক্যান্সার অপারেশন না করলে যেভাবে আস্তে আস্তে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, তেমনি গুনাহ পরিত্যাগ না করলে তা আস্তে আস্তে সব অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। একসময় সব ধরনের গুনাহে লিপ্ত হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য গুনাহ পরিত্যাগ করো।’(সুরা : আনআম, আয়াত : ১২০)

গুনাহের চার সাক্ষী

গুনাহের ওপর কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা চার সাক্ষী পেশ করবেন।

প্রথম সাক্ষী : প্রত্যেক মানুষের কাঁধে ‘কিরামান কাতিবিন’ ফেরেশতা আছেন, তাঁরা সাক্ষী হবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘অবশ্যই তোমাদের ওপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত আছে। সম্মানিত আমল লেখকবৃন্দ। তারা জানে, যা তোমরা করো।’ (সুরা : ইনফিতার, আয়াত : ১০-১২)

দ্বিতীয় সাক্ষী : আমলনামা সাক্ষী হবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আমলনামা সামনে রাখা হবে। তাতে যা আছে, তার কারণে আপনি অপরাধীদের ভীতসন্ত্রস্ত দেখবেন। তারা বলবে, হায় আফসোস! এ কেমন আমলনামা? এ যে ছোট-বড় কোনো কিছুই বাদ দেয়নি; সবই এতে রয়েছে। তারা তাদের কৃতকর্মকে সামনে উপস্থিত পাবে। আপনার পালনকর্তা কারো প্রতি জুলুম করবেন না।’ (সুরা : কাহফ, আয়াত : ৪৯)

তৃতীয় সাক্ষী : জমিন বা গুনাহ করার স্থান সাক্ষী হবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন সে (জমিন) তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে। কারণ আপনার পালনকর্তা তাকে আদেশ করবেন।’(সুরা : জিলজাল, আয়াত : ৪-৫)

চতুর্থ সাক্ষী : মানুষের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সাক্ষী হবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা যখন জাহান্নামের কাছে পৌঁছাবে, তখন তাদের কান, চোখ ও ত্বক তাদের কর্ম সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবে।’ (সুরা : সাজদা, আয়াত : ২০)

আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব, তাদের হাত আমার সঙ্গে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে।’ (সুরা : ইয়াসিন, আয়াত : ৬৫)

পাপ আগুনসদৃশ

পাপ মূলত আগুন। পাপীরা অবশ্যই ইহকাল ও পরকালে পাপের আগুনে জ্বলবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা এতিমদের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করে, তারা নিজেদের পেটে আগুনই ভর্তি করে এবং শিগগির তারা অগ্নিতে প্রবেশ করবে।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১০)

কিউএনবি/অনিমা/০৭ অগাস্ট ২০২৪,/রাত ১০:৫৬

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit