ডেস্ক নিউজ : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেড় বছরের শিশু ও তার স্ত্রীকে নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে প্রতিবাদী এক অভিভাবক। শনিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দনিয়া কলেজের সামনে তিনি অবস্থান নেন। এ সময় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও অভিভাবক এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ মহাসড়কে জড়ো হয়ে ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।
তিনি বলেন, ঘরে থেকেও যেহেতু নিরাপদ নেই, গুলি খেয়ে মরতে হয়। রাস্তায় এসে আন্দোলন করেই মরি। শিশুও দেখুক কি হচ্ছে। ১৯৭১ সালে আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, দাদার কাছে ও বয়স্ক লোকদের কাছে শুনেছি। তাদের বলামতে, ২০২৪ সাল ১৯৭১ সালকে হার মানিয়েছে। শিক্ষার্থীদের একটি যৌক্তিক দাবি মেনে নিলে এত রক্তপাত হতো না। হাজার শিক্ষার্থীকে প্রাণ দিতে হতো না।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন পত্রিকায় ও মিডিয়ায় লিখছে— গত ১৬ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত ২ থেকে আড়াইশ শিক্ষার্থীসহ আন্দোলনকারী মারা গেছে। তারা তো হাসপাতালে যে লোকগুলো মারা গেছে, তাদের বরাত দিয়ে এ সংখ্যা বলছে। আর যখন পুলিশ, র্যাব, বিজিবি— এমনকি সেনাবাহিনী স্থলপথে ও আকাশপথে হাজার হাজার গুলি, টিয়ারশেল, সাউন্ডগ্রেনেড, ছররা গুলি ও গুলি করে এমনকি হেলিকপ্টর দিয়ে টার্গেট করে করে মানুষকে হত্যা করেছে। যারা অন্য স্পটে মারা গেছে, তাদের লাশ তো হাসপাতালে নেওয়া হয়নি। তাদের অভিভাবকরা নিয়ে গেছেন। তাদের হিসাব তো পত্রিকায় বা কোনো ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় গণনায় আসেনি। তাদের হিসাবসহ করা হলে যাত্রাবাড়ী থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত অন্তত চার শতাধিক লোক মারা গেছে। সারা দেশের হিসাব এভাবেই করা হলে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাবে। তাতে করে সারা দেশে কত লোক মারা যেতে পারে আপনাদের কাছে প্রশ্ন রইল।
কিউএনবি/অনিমা/০৪ অগাস্ট ২০২৪,/দুপুর ২:৩৫