খোরশেদ আলম বাবুল,শরীয়তপুর প্রতিনিধি : মেঘনা নদীতে বরযাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৩ জনের মধ্যে আরো দুই জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তারা হলেন বরের ভাই শাওন ও বন্ধু হৃদয়। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বর সাঞ্জু। গতকাল শুক্রবার রাতে শাওনের মরদেহ জেলেদের জাল থেকে ও শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে সাঞ্জুর বন্ধু হৃদয়ের মরদেহ মেঘনা নদীর কোদালপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করে নৌ-পুলিশের একটি দল। নরসিংহপুর নৌ-পুলিশ ফাড়ির উপ-পরিদর্শক নাজমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত শাওন ঢাকার জুরাইন এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে ও হৃদয় নিখোঁজ বরের বন্ধু।
নৌ-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর লঞ্চঘাট থেকে ট্রলারযোগে মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে মাঝের চর যাওয়ার পথে বেলা ১১ টার দিকে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। ঢাকা থেকে আসা বরযাত্রীর ৮ জনসহ ট্রলারটিতে মোট ১১ জন যাত্রী থাকলেও স্থানীয় তিনজন সাঁতার কেটে পাড়ে উঠতে সক্ষম হয়। সাঁতার না জানায় অপর ৮ জন নদীতে ডুবে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় জেলে ও পুলিশ বরযাত্রীদের মধ্য থেকে ৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসক উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বরের মা সাহানা ও বোন জলি আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। বরসহ অপর তিন জন নিখোঁজ রয়। তারা হলেন বর সাঞ্জু, বরের ভাই শাওন ও বন্ধু হৃদয়।
গতকাল সারাদিন ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সমন্বিত টিম উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে। প্রবল ¯্রােতের কারণে তাদের খোঁজ পেতে কিছুটা বিলম্ব হয়। ওই দিন রাতে কোদালপুর লঞ্চঘাটের কাছাকাছি মেঘনা নদীতে বরের ছোট ভাই শাওনের মরদেহ জেলেদের জালে আটকে যায়। সেখান থেকে শাওনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে বরের বন্ধু হৃদয়ের মরদেহ কোদালপুর এলাকার মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করে নৌ-পুলিশের একটি দল। এখনও নিখোঁজ রয়েছে বর সাঞ্জু। মরদেহ গুলো পরিবারের কাছে ইতোমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নরসিংহপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক নাজমুল ইসলাম বলেন, দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় একই পরিবারের তিন জনসহ মোট চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো বর নিখোঁজ রয়েছেন। ইতোমধ্যে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কিউএনবি/অনিমা/০৩ অগাস্ট ২০২৪,/বিকাল ৪:৫৬