এম এ রহিম,চৌগাছা (যশোর) : যশোরের চৌগাছায় মা ভাত খেতে না দেওয়ায় অভিমানে বাপ্পি মোল্লা (১৭) নামে এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে পারিবারিক কবরস্থানে বাপ্পিকে দাফন করা হয়। সে উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের মাঠচাকলা গ্রামের জাহিদুল মোল্লার একমাত্র পুত্র সন্তান।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সুত্র জানায়, বাপ্পির পিতা জাহিদুল ইসলাম একজন অবস্থাস¤পন্ন মানুষ। বাপ্পিরা এক ভাই ও এক বোন। কিন্তু তা সত্বেও জাহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ছেলে বাপ্পিকে লেখাপড়া না শিখিয়ে লোকের ক্ষেতে কামলা খাটতে পাঠায়। এ কাজ করতে বাপ্পি প্রায়ই অস্বীকৃতি জানায়। যেদিন সে কাজে না যায় সেদিন বাপ্পির মা তাকে ভাত খেতে দেয়না। এক পর্যায়ে ১৪ জুলাই রবিবার শরীর অসুস্থ হওয়ায় বাপ্পি কাজে না গিয়ে বাড়িতে অবস্থান করে। এ কারণে বাপ্পির মা এদিন সকাল থেকে বাপ্পির উপর বকাঝকা করে ভাত দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এদিন সন্ধ্যায় বাপ্পি তার মাকে বলে, ” আমাকে যদি খেতে না দিস তাহলে তো আমার বিষ খাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই” এ কথা শুনে বাপ্পির মা বলে এখনই খা। টাকা না থাকলে আমার কাছ থেকে নিয়ে যা।
এ কথা শোনার পর পর দিন সোমবার ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় বাপ্পি পাশের দেবিপুর বাজার থেকে ঘাস পোড়া কিটনাশক কিনে বাড়িতে বসে পান করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চৌগাছা উপজেলা সরকারি মডেল হাসপাতালে এবং পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেন।
১৫ জুলাই রাতেই ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকগণ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথি মধ্যে বাপ্পি মৃত্যবরণ করে। মঙ্গলবার বাপ্পির লাশ বাড়িতে আসলে উত্তেজিত গ্রামবাসি বাপ্পির মা ও মামাকে মারধোর করে। পরে ১৬ জুলাই দুপুরে পারিবারিক কবরস্থানে বাপ্পিকে দাফন করা হয়েছে।চৌগাছা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কিউএনবি/অনিমা/১৬ জুলাই ২০২৪,/বিকাল ৫:২৫