খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন, মুসলমানদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসবের একটি হচ্ছে ঈদুল আযহা। এই উৎসবে রাজধানী ও অন্যান্য শহর থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ নাড়ির টানে পরিবার—পরিজনসহ গ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা কিংবা আনন্দ ভ্রমণের জন্য বের হওয়া হাজার হাজার নারী—পুরুষ ও শিশুর যাত্রাকে নিরাপদ করা আমাদের সবার দায়িত্ব। রাস্তায় এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা লক্ষ করা যায়, যা অনেক সময় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অতএব, ঈদে মাটির টানে যাওয়া—আসা যাতে স্বস্তিদায়ক হয়, সে বিষয়ে আমাদের সবার সর্বোচ্চ সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। যাত্রী ও পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আইনকানুন মেনে চলবেন।
দেশের বেশির ভাগ যাত্রী সড়কপথে বাড়িতে যায় এবং ফিরেও আসে সড়কপথে। তাই যাত্রীদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য সড়কপথে যেন ফিটনেসবিহীন যানবাহন কেউ নামাতে না পারে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। এমনকি ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই এমন কেউ যাতে বাস বা অন্য কোনো যানবাহন চালাতে না পারে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। কেউ যাতে রেষারেষি করে কিংবা প্রতিযোগিতা করে যানবাহন না চালায়, এ ব্যাপারে চালকদের সতর্ক করে দেওয়া জরুরি। অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ, যত্রতত্র পার্কিং ও যাত্রী ওঠানামা বন্ধে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এ সময় খাগড়াছড়ি বাস মালিক সমিতির সভাপতি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আবুল কাশেম ভূইঁয়া সহ জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবুন্দ সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কিউএনবি/অনিমা/০৬ জুন ২০২৪,/রাত ৮:২২