শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন

অ্যালকালাইন ফুড ও এসিডিক ফুড কী?

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪
  • ৮৭ Time View

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : ইদানীং ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে অ্যালকালাইন ডায়েট বা ক্ষারীয় খাবার। এই ডায়েটে মাছ, মাংসের বদলে জোর দেওয়া হয় শাক, সবজি এবং ফলের উপর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষারীয় খাবার অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় এবং শরীরে অ্যাসিডের মাত্রার ভারসাম্য রাখতে সহায়তা করে। একইসঙ্গে এই খাবারগুলো পেট ঠাণ্ডা রাখে। হজমের সময় পাকস্থলী থেকে প্রচুর গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড নিঃসৃত হয়। তাই ক্ষারযুক্ত খাবার পরিপাকতন্ত্রকে শিথিল করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৬৭ শতাংশ মৃত্যুর কারণই হচ্ছে অসংক্রামক ব্যাধি হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘস্থায়ী রোগ (সিওপিডি), উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি জটিলতাসহ অন্যান্য। আর এই রোগগুলোর অন্যতম প্রধান কারণ হলো- অ্যাসিডিটি। তাই অ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে অ্যাসিডিক খাদ্য পরিহার করে অ্যালক্যালাইন খাদ্য খেতে হবে।

এখানে কয়েকটি অ্যালক্যালাইন খাবারের তালিকা দেওয়া হল….

১. সকল প্রকার শাক সবজি।
২. সকল প্রকার ফলমূল।
৩. ওয়ালনাট, পিকান, আলমন্ড নাট। 
৪. পামকিন সিড, সানফ্লাওয়ার সিড। 
৪. অর্গানিক কোল্ড প্রেসড এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল। 
৫. অর্গানিক গ্রিন টি, হারবাল টি, গ্রীন কফি। 
৬. পিংক সল্ট, সাধারণ লবণ মিশ্রিত পানি। 
৭. ডাবের পানি। 

অপরদিকে অ্যাসিডিটির সমস্যা এখন অনেকেরই রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই পরিস্থিতিতে সতর্ক হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সেক্ষেত্রে কয়েকটি খাবার অ্যাসিডিটির পিছনে দায়ী বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

নিচে কিছু অ্যাসিডিক খাবারের তালিকা দেওয়া হল…

১.সকল প্রকার মাছ।
২.সকল প্রকার মাংস। 
৩. সকল প্রকার চাল।  
৪.সকল প্রকার আটা, ময়দা। 
৫. সকল প্রকার সফট ড্রিংকস।  
৬. সকল প্রকার প্রসেস ফুড। 
৭. সকল প্রকার ফাস্টফুড। 
৮. সকল প্রকার জাঙ্ক ফুড। 
৯. সকল প্রকার কেক।  
১০. সকল প্রকার মিষ্টি। 
১১. সকল প্রকার ডিম।

অ্যাসিডিক ও অ্যালক্যালাইন খাদ্য সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা নেয়া যাক। আমাদের দেহে খাদ্য হজম হওয়ার পর অবশিষ্টাংশ তৈরি হয়। মূলত প্রধান খাবারের খনিজ উপাদানের উপর নির্ভর করে এই অবশিষ্টাংশটি নিরপেক্ষ, অ্যাসিডিক বা অ্যালক্যালাইন হতে পারে। 

যেমন : পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, তামা বা কপার হচ্ছে অ্যালক্যালাইন মিনারেল । অন্য দিকে সালফার, ফসফরাস, ক্লোরিন, আয়োডিন হলো অ্যাসিডিক মিনারেল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যালক্যালাইন মিনারেলযুক্ত খাবার খেলে দেহের অবশিষ্টাংশ হবে অ্যালক্যালাইন। আর অ্যাসিডিক মিনারেল খাবার খেলে অবশিষ্টাংশ হবে অ্যাসিডিক।

কিউএনবি/অনিমা/০৫ জুন ২০২৪,/রাত ১০:৩৬

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit