বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম

রাঙামাটিতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের দায়ে ধর্ষকের আমৃত্যু কারাদন্ড

আলমগীর মানিক,রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি।
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪
  • ৮০ Time View

আলমগীর মানিক,রাঙামাটি : ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক নামের এক আসামীকে আমৃত্যু কারাগারে অন্তরীণ রাখার আদেশ দিয়েছেন রাঙামাটির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক এ.ই.এম ইসমাইল হোসেন এর আদালত আসামীর উপস্থিতিতে এই আদেশ প্রদান করেন।

এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট প্রকাশ করলেও আসামী পক্ষ সংক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করবেন বলে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন।

বিগত ২০১৮ সালের ২১ শে মার্চ তারিখে রাঙামাটি শহরের পুরানবস্তি এলাকায় আব্দুল হকের মালিকানাধীন তার ভাড়া বাসায় আসামী মোজাম্মেল হক নিজে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর উক্ত কিশোরীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় ভিকটিমের মা উক্ত ঘটনায় হাতেনাতে মোজাম্মেলকে আটক করলে কোতয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে আসামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। যাহার মামলা নং-৭ তারিখ: ২১/০৩/২০১৮ইং।

৬ বছর পর এই মামলায় রায় প্রদানের সময় আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানান, ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে ভিকটিম ৪০ বছর বয়সী আসামী কর্র্তৃক পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

এই ঘটনার পর ভিকটিম ও তার পরিবার এলাকাবাসীর কটাক্ষের শিকার হয়ে অন্যত্র গিয়ে ভিকটিমকে বিয়ে দেন। সে ঘরে একটি সন্তানও হয়েছে। কিন্তু সে স্বামী ভিকটিমের ধর্ষনের ঘটনা শুনে তাকে তালাক দিয়ে দেয়।

এই ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে, ভিকটিম বাল্য বিবাহের শিকার হয়েছে এবং তার শিক্ষা জীবন ধ্বংস হয়ে তার জীবন ওলটপালট হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় ভিকটিমের মতো অন্যান্য শিশুদের ভবিষ্যতে আসামীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তাকে আমৃত্যু কারাগারে অন্তরীণ করে রাখা প্রয়োজন মনে করেছেন আদালত।

তাই আসামী মোজাম্মেল হককে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৯(১) ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং এর অতিরিক্ত এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। জরিমানার টাকা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার পর সেই অর্থ ভিকটিম ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রাপ্ত হবেন বলেও আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর বিজ্ঞ আইনজীবি এ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম অভি আদালতে রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে সমাজে একটি ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে এবং এতে করে সমাজে এই ধরনের অপরাধগুলো কমে আসবে বলে আমি মনে করছি।

অপরদিকে আসামীপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট রহমত উল্লাহ তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এই রায়ে সংক্ষুব্ধ হয়েছি, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপীল করবো। আশাকরছি সেখানে আমরা ন্যায় বিচার পাবো।

কিউএনবি/আয়শা/২৮ মে ২০২৪,/সন্ধ্যা ৬:৫৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit