বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১০ অপরাহ্ন

শবেবরাতের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও করণীয়

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৭৭ Time View

ডেস্ক নিউজ : পবিত্র শবেবরাত মুসলমানদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশাল নিয়ামত। শবেবরাত মুক্তির রজনি। এ রাতে আল্লাহতায়ালা তাঁর অসংখ্য, অগণিত বান্দাকে ক্ষমা করার মাধ্যমে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। আরবি ভাষায় এ রাতকে ‘লাইলাতুন্নিসফি মিন শাবান’ বলা হয়। এর অর্থ হচ্ছে অর্ধশাবানের রজনি। হাদিসে লাইলাতুন্নিসফি মিন শাবান নামেই এ রাতের ফজিলতের কথা এসেছে। শবেবরাত একটি মহিমান্বিত রাত। এ রাত ফজিলতপূর্ণ হওয়ার বিষয়টি সহি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। যেমন, এ হাদিসের ফজিলত সম্পর্কে সহি হাদিসের বিখ্যাত সংকলন সহি ইবনে হিব্বানে বর্ণিত হয়েছে- হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ অর্ধশাবানের রাতে (শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ দেখুন ‘ইবনে হিব্বান’।

শবেবরাতের গুরুত্ব ও ফজিলত প্রমাণিত হওয়ার জন্য এই একটি হাদিসই যথেষ্ট। তবু হাদিসের বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে এ-বিষয়ক আরও হাদিস উল্লেখ করা সম্ভব। নিচে আরেকটি হাদিস উল্লেখ করা হলো। হজরত আলা ইবনুল হারিস (রহ.) থেকে বর্ণিত। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘একবার রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে নামাজে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সিজদা করেন যে, আমার ধারণা হলো তিনি হয়তো মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সিজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করলেন তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়েশা, অথবা বলেছেন, ও হুমায়রা, তোমার কি এই আশঙ্কা হয়েছে যে, আল্লাহর রসুল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি উত্তরে বললাম, না, ইয়া রসুলুল্লাহ। আপনার দীর্ঘ সিজদা থেকে আমার আশঙ্কা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কিনা। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রসুলই ভালো জানেন। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন ইরশাদ করলেন, এটা হলো অর্ধশাবানের রাত। (শাবানের ১৪ তারিখের দিবাগত রাত।) আল্লাহ অর্ধশাবানের রাতে তাঁর বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের প্রতি অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই।’ দেখুন ‘শুয়াবুল ইমান, বায়হাকি’। উপরোক্ত হাদিস থেকে এ রাতের ফজিলত যেমন জানা যায় তেমন এ রাতের আমল কেমন হওয়া উচিত তাও বোঝা যায়। অর্থাৎ দীর্ঘ নামাজ পড়া, সিজদা দীর্ঘ হওয়া, আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং রহমত ও দয়া কামনা করা। এমনিভাবে অন্তরকে বিদ্বেষমুক্ত করা। কারও সঙ্গে যদি বিদ্বেষ ও শত্রুতামূলক কোনো সম্পর্ক থাকে, তাহলে তা মিটিয়ে ফেলা। কারণ তা না হলে এ মহান রাতের ফজিলত তথা আল্লাহর ক্ষমাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার মতো দুর্ভাগ্যের শিকার হতে হবে। যার চেয়ে বড় দুর্ভাগ্য আর কিছু হতে পারে না। শবেবরাতের আরেকটি বিশেষ আমল হলো শবেবরাতের পরদিন রোজা রাখা। হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, (তরজমা) ‘১৫ শাবানের রাত (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে তখন তোমরা তা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং পরদিন রোজা রাখো।’ দেখুন ‘সুনানে ইবনে মাজাহ’।

কিউএনবি/অনিমা/২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪/দুপুর ১:৪১

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit