সাহিত্য ডেস্ক :
আমার মনে হয়,
কুয়াশার বুক খুঁড়ে তুমি চলে আসো কাছে
অথবা অন্য কেউ সেই পথ ধরে আসুক;
একটু বসুক পাশে;
ফুটুক-কোনো দিন না ফোটা একটি গাছে-
মনোমুগ্ধকর স্বচ্ছ শিউলি-শেফালী ফুল!
বিরহের দুর্ভাবনাগুলো
কচুরিপানার মতো!
জ্বলুক আগুন বুকে আরও-দাউদাউ করে,
যেমন করে বর্ষায় বৃষ্টি পড়ে!
নড়ে গাছের কাণ্ড, চৈত্রে বিরহী বাঁশের পাতা ঝরে!
উড়ুক অনাহারী চাতক পাখিটি
কাঠ ফাটা রৌদ্রে!
বিরহী কোকিলের মতো ডাকুক
একটি ডাহুক পাখি নিস্তব্দ রাতে!
হাতে হেলান দিয়ে চেয়ে থাকি আমি
প্রকৃতির চরম অরাজকতার অপ্রকৃতিস্থ শীতে!
মনে হয় আঁধারের বুক চিড়ে তুমি আসো,
অথবা অন্য কেউ এলে আসুক;
তোমার দেখানো পথে!
এসে আড়াল থেকে উঁকি দিয়ে দেখুক
একটি বিরহী বুকের খাঁচায়
আটকে পড়া ছটফট পাখির মন
কেমন কষ্টে কাঁদে, থাকে-
কারোর শুভাগমনের প্রতীক্ষায়!
এলে আসুক ফিরে
নিজ নিজ ঘরে!
ফিরে আসুক আমার অথবা কারোর প্রিয়তমা-
একজন অমৃতময়ী, নীলাচল,
স্বজনহারা সুলেখা অথবা মালবিকা!
প্রকৃতির পালাবদলের ঋতুচক্রে
আবর্তিত হয়ে আসলে আসুক আমার মালবিকা
একজন পথিকৃতের দেখানো পরিচ্ছন্ন পথ ধরে!
কিউএনবি/আয়শা/৩১ জানুয়ারী ২০২৪,/বিকাল ৩:৪৫