শরীয়তপুর প্রতিনিধি শরীয়তপুর প্রতিনিধি : নড়িয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও ইতালী প্রবাসীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে রানা শেখ, তার স্ত্রী ও ভাইর বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে আদালতে মামলা করে প্রতিকার চেয়েছেন বাদী পক্ষ। উপজেলা প্রশাসন ও নড়িয়া থানা থেকে কোন সহায়তা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই পরিবার।
মামলার আর্জি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নড়িয়া পৌরসভার বৈশাখী পাড়া গ্রামের ইতালী প্রবাসী আতিকুল আলম জুয়েল ও তার স্ত্রী ২ নং চেরাগ আলী বেপারী কান্দি (গফুর) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম। তারা ২০০০ সালে স্থানীয় জাহানারা বেগমের নিকট থেকে জমি ক্রয় পরবর্তী বসত বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। সেই জমি থেকে ফাতেমা বেগমের পরিবার উচ্ছেদ করে দখলে নিয়েছেন পাইকপাড়া গ্রামের রানা শেখ, তার স্ত্রী শারমিন আক্তার ও তার ভাই সুজন শেখ। এই বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেও কোন প্রতিকার মিলেনি বাদী পক্ষের।
মামলার বাদী শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম জানায়, তিনি ২০০০ সালে জাহানারা বেগমের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছেন। তার ক্রয়কৃত জমির চৌহুদ্দিতে উল্লেখ করা হয়েছে উত্তরে শাহিন খান, দক্ষিনে মমতাজ উদ্দিন হাওলাদার, পূর্বে সরকারী রাস্তা ও পশ্চিমে নাজমা বেগম। সেই জমির বিআরএস রেকর্ডও পেয়েছেন তিনি। এই পর্যন্ত সরকারি সকল প্রকার খাজনাদি পরিশোধ করে আসছেন।
রানা শেখ ও তার লোকজন সেই জমি দখলের চেষ্টা অব্যাহত রাখায় ফাতেমা আক্তার গত ১৯ ডিসেম্বর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় ১০১৩/২০২৩ নং মামলা দায়ের করেন। আদালত নালিশী জমিতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য নড়িয়া থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন আর অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে উপজেলা ভূমি অফিসারকে (এসি ল্যান্ড) প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে রানা শেখ নালিশী ভূমিতে স্থাপনা নির্মাণ করে আসছে। আমরা কোন আইনী সহায়তা পাইনি।
ইতালী প্রবাসী আতিকুল আলম জুয়েল বলেন, জমি বেদখলের সংবাদ পেয়ে ইতালী থেকে দেশে আসি। ভূমি অফিস ও থানায় গিয়েছি। আদালতেও মামলা করেছি। আমরা আইনি কোন সহায়তা পাইনি। চোখের সামনে আমার বাড়ি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করতেছে। বাধাও দিতে পারছি না। খুব কষ্ট লাগে।
অভিযুক্ত রানা শেখ জানায়, ফাতেমা ম্যাডাম যার কাছ থেকে জমি কিনেছে তার কাছ থেকে আমিও জমি কিনেছি। তার ক্রয় যদি বৈধ হয় তাহলে আমারটাও বৈধ। আমার বিরুদ্ধে ভূমি অফিসে ও থানায় অভিযোগ করে পরে কোর্টে মামলাও করে। ইতোমধ্যে আমি ঘর নির্মাণ করে ফেলেছি। এখন শুধু দরজা লাগানো বাকি। কাল থেকে আমি ঘরে বসবাস করব।নড়িয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আদালত থেকে প্রাপ্ত নোটিশ জারি করা হয়েছে। এর পরেও যদি নালিশী জমিতে কোন পক্ষ কার্যক্রম চালায় তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
কিউএনবি/আয়শা/১২ জানুয়ারী ২০২৪,/দুপুর ১:৪৪