লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : নতুন বছরের শুরুতে আমরা নিজের সঙ্গে নানা রকম কমিটমেন্ট করি। যেমন ভালো কাজ করার, ওজন কমানো বা কোনো কিছু অর্জনের। এই অনেক কিছুর সঙ্গে যোগ হোক আরও একটা বিষয়। আর তা হলো বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে কাউকে হেয় করে কথা বলা। অনেক দিন পর কোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলে আমরা অনেকেই প্রশ্ন করি এত শুকনা কেন, বা কি খেয়ে এত মোটা হয়েছ?
গায়ের রঙ নিয়েও কথা বলতে ছাড় দেই না অনেকেই। কিন্তু এই কথাগুলো যাকে বলা হয়, তার ওপর কেমন প্রভাব পড়ে একবারও কি ভেবেছি? স্বাস্থ্য সচেতনতার নামে আধুনিক সমাজে অন্যকে হেয় করার যেন এক ধরনের বাজে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। বন্ধু-আত্মীয় বা কলিগ যেই হোক এভাবে হেয় করে কথা বললে কখনোই সে প্রিয় থাকতে পারে না। এই বোধটাও খুব জরুরি।
আর যাকে প্রতিনিয়ত কথাগুলো বলা হয়, তার জন্য এটা অপমানজনক। এতে করে দেখা দিতে পারে হতাশা। তিনি ভুগতে পারেন হীনমন্যতায়। বডি শেমিং করে অনেকেই চান প্রিয়জনের জীবনে ভালো পরিবর্তন আনতে। কিন্তু মানুষকে অপমান করে কি শোধরানো সম্ভব?
বরং বডি শেমিংয়ের শিকার হয়ে অনেকে জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন। যার পরিণাম হতে পারে ভয়াবহ। যাদের বডি শেমিং করা হয়, তারা অন্যের কথায় কান দেবেন না। নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের যত্ন নিন। পৃথিবীর সবাই সুন্দর। মানুষের আসল সৌন্দর্য তার মনে। আর সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটে তার আচরণ ও কাজে।
কিউএনবি/অনিমা/১০ জানুয়ারী ২০২৪/বিকাল ৪:০০