রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন

ঝালকাঠি নলছিটি ভৈরবপাশা ইউপি‘র ৪০দিনের কর্মসূচিতে পুকুর চুরির অভিযোগ

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ২৪৮ Time View
গাজী মো. গিয়াস উদ্দিন,ঝালকাঠি : সরকারের অতিদরিদ্রদের প্রকল্পের নামে এযেনো পুকুর চুরির আর এক ঘটনার জন্ম। ঝালকাঠি নলছিটি ভৈরবপাশা ইউনিয়নের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে সিমাহীন অনিয়ম-দূর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে প্রকল্পের নামে মাত্র কয়েকজন লেবার থাকলেও সিংহভাগ লেবার কাগজ কলমেই সিমাবদ্ধ। কাগজ কলমে নাম থাকলেও তাদের অধিকাংশই নেই কর্মস্থলে। এমনকি অনেকে জানেনই না তাদের নাম রয়েছে এই প্রকল্পে।

প্রকল্পের অর্থ লোপাট-আতœসাতের জন্য দয়িত্বে থাকা মেম্বার চেয়ারম্যানরা একে অপরের দিকে দায় চাপাচ্ছেন। এ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা ইউপি সদস্য মোসাঃ ফরিদা পারভিন বলেন,প্রকল্পের অনিয়ম দূনির্তীর বিষয় আমি কিছুই জানিনা চেয়ারম্যান ও সচিব জানেন। অপর ইউপি সদস্য মো.নূরে আলম মানিক বলেন,প্রকল্পের লোকজন ধানকাটা নিয়ে ব্যস্ত পরে বন্ধের মধ্যে কাজ করিয়ে সমন্নয় করা হবে। তবে কাগজে ৩৫জন লেবার থাকলেও সরেজমিনে ১৩জনে কাজ করছে এমন প্রশ্নে তিনি মাটি মেপে বিল নিবেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। ভৈরবপাশা ইউনিয়নে চারজন ইউপি সদস্য সিপিসির দয়িত্বে থাকলেও তাদের দূনিতীর অর্থ চেয়ারম্যান,সচিব,পিআইও মিলে ভাগভাটোয়ারা করে আত্মসাৎ করে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানান।

তথ্যানুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে, ২ নাম্বার ওয়ার্ডের উত্তর প্রতাপ  আঃ হকের বাড়ি হইতে মুন্সি বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা সংস্কার কাজে তালিকা ভুক্ত ৩৪ জনের নাম থাকলেও কর্মস্থলে দেখা গেছে ১১ জন। ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো.নূরে আলম মানিক এর সিপিসি এইচ আর ডি থেকে নাগ বাড়ি হইয়া ভৈরব পাশা কেতাব আলী খানের বাড়ী নিকট পর্যন্ত কাজেও রয়েছে অনিয়ম সেখানেও তালিকা ভুক্ত ৩৫ জনের নাম থাকলেও কাজ করছেন ১৩ জন লেবার।

৪ নাম্বার ওয়ার্ডের প্রেমহার বাবুল বেপারীর বাড়ি হইতে আশ্রাব আলীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার কাজের প্রকল্পের সিপিসি মহিলা ইউপি সদস্য মোসাম্মাদ ফরিদা পারভিন সেখানে তালিকা ভুক্ত ৩৪ জনের মধ্যে ১৭ জনকে কাজ করতে দেখা গেছে এবং ৩ ও ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের ষাটপাকিয়া দেলোয়ার তালুকদারের বাড়ির নিকট হইতে ফরিদ কারিগরের বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তার সংস্কার কাজে তালিকা ভুক্ত ৩৪ জনের কাজ করার কথা থাকলেও কাজ করছেন ১৫ জন করে কিছু দিনের মধ্যেই কাজ বন্ধ করে দেন।

এলাকাবাসী জানান  যে রাস্তায় কাজ হবে তার পাশেই অন্যের জমি পুকুরের মতো গভীর করে মাটি কাটায় ওই জমির মালিকের আপত্তিতে কাজ বন্ধ করে দেন ঠিকাদার ও ইউপি সদস্য জামাল ও শাহজাদা লস্কর। এ বিষয় জানতে চাইলে ইউপি সদস্য জামাল হোসেন জানান, জমির মালিকের আপত্তি থাকায় কাজ বন্ধ করে ছিলাম, তাছাড়া ওখানের মাটি রাস্তা বাধার অনুপযোগী ছিল। এখন আবার কাজ শুরু করেছি। ২০২২-২০২৩ ইং অর্থ বছরের নলছিটি ভৈরবপাশা ইউনিয়নে ৪’টি প্রকল্পের একশত ৩৭ জন অতিদরিদ্র’র  প্রতিদিন একজনের ৪শত টাকা হাজিরা হলে ৫৪৮০০টাকা একদিনের বিল হয়। তহলে ৫৪৮০০ পুরন ৪০দিনে একুশ লক্ষ বিরানব্বই হাজার টাকা সরকারি টাকা বরাদ্দ হয়।

কিন্তু বাস্তবে কাজ করতে দেখাগেছে ৫৬ জনকে। ৮১ জন লেবারের ৪শত টাকা হারে একদিনের বিল হয় ৩২হাজার ৪শত টাকা। তাহলে ৪০দিনে ১২ লক্ষ ছিয়ানব্বই হাজার টাকা ওই সকল প্রকল্পের সিপিসিসহ সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আত্নসাত করেছে। নলছিটি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পি আই ও) বিজন কৃষ্ণ খরাতী কে তার অফিসে গিয়ে না পেয়ে তার মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে ভৈরবপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হক বলেন,৪০দিনের কর্মসূচির সিপিসি ৪জন ইউপি সদস্যকে দেওয়া হয়েছে। কাজের অনিয়মের বিষয় আমার জানানেই। মেম্বারাই বলতে পারবেন কয়জনে কাজ করে না করে।

কিউএনবি/আয়শা/২৭ ডিসেম্বর ২০২৩,/সন্ধ্যা ৭:৪৪

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit