রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০২ অপরাহ্ন

মানবাধিকার দিবস ঘিরে পরিস্থিতি ঘোলাটের চক্রান্ত চলছে: তথ্যমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৬০ Time View

ডেস্ক নিউজ : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মানবাধিকার একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। মানবাধিকারের কথা বলে কোনো কোনো দেশকে দমন করে রাখার চেষ্টা করা হয়। বিশ্ব মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে।

শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি রুবেল খান, সহ-সভাপতি অনিন্দ্য টিটু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক প্রমুখ।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, কোনো কোনো সন্ত্রাসীর মানবাধিকার নিয়েও কেউ কেউ সোচ্চার হয়। কিন্তু সেই সন্ত্রাসী যে এত মানুষ মারল, সেটি নিয়ে কোনো কথাবার্তা নেই। পৃথিবীতে কিছু মানবাধিকার সংগঠন আছে, যেগুলো মূলত মানবাধিকারের ব্যবসা করে। যে সব বিশ্ববেনিয়া মানবাধিকারের কথা বলে এবং বাংলাদেশেও যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে, ফিলিস্তিন নিয়ে তাদের ভূমিকা কেমন? আমি কথাগুলো বলছি, কারণ আগামী পরশু দিন ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস।

হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে ১৯৭৫ সালে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বেই ইন্ডেমনিটি অধ্যাদেশ এবং সেটিকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করার মাধ্যমে। দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে ১৯৭৭ সালে, নির্বিচারে সেনা অফিসার ও বিমান বাহিনীর অফিসারদেরকে বিনা বিচারে হত্যা করে। তারপর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব। এগুলো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কিছু বিবৃতিজীবী আছেন, বিবৃতি দেওয়াই তাদের পেশা। বাংলাদেশেও কিছু বিবৃতিজীবী আছেন। ইদানীং অবশ্য তাদের দেখা যাচ্ছে না, বিবৃতিজীবীরা বেশিরভাগ হারিয়ে গেছেন। দেশে যেভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, সবসময় যারা এ ধরনের বিবৃতি দেন তাদের বিবৃতি এখন দেখতে পাচ্ছি না। 

কিউএনবি/অনিমা/০৮ ডিসেম্বর ২০২৩/রাত ১০:১৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit