ডেস্কনিউজঃ সরকার সাজানো নির্বাচন আয়োজনের জন্য বিভিন্ন দলের লোক ভাগিয়ে এনে ডামি নির্বাচন আয়োজন করছে মন্তব্য করে গণতন্ত্র মঞ্চ বলছে, যে ব্যক্তিকে সহিংসতার মামলার আসামি করা হয়েছে তাকে জামিন দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করার মধ্য দিয়ে সরকার প্রমাণ করছে ভুয়া মামলায় বিরোধী দলের প্রায় ২০ হাজার মানুষকে জেলে রেখেছে। সরকারের দালালি করলে জামিন আর বিরোধিতা করলে জেলে রাখার মধ্যে দিয়ে বিচারবিভাগকে দলীয় প্রতিষ্ঠানের মতো ব্যবহারের নির্লজ্জতা দেখাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।
রোববার যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জোট ও দলগুলোর ডাকা দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধের সমর্থনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে মিছিল ও সমাবেশ করে মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। এরআগে পুরানা পল্টন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাদের মিছিলটি দৈনিক বাংলা মোড় ঘুরে বিজয়নগর পুরানা পল্টন হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনভাবেই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে এমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের পরামর্শে ইউএনও এবং পুলিশের ওসিদের বদলির প্রস্তাব সরকার রক্ষা করছে না। নির্বাচন কমিশন এই ফ্যাসিবাদী সরকারের তল্পিবাহক হয়ে জনগণের সঙ্গে বেইমানি করছে। এই বেইমানির পথ ছেড়ে তফসিল প্রত্যাহার করুন অথবা পদত্যাগ করে জনগণের পক্ষে থাকুন। এছাড়া নির্বাচন কমিশন, আওয়ামী লীগ সরকার ও তাদের দোসরদের জনগণের কাঠগড়ায় বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, যারা এই অবৈধ সরকারের সহযোগী হয়ে ইতিহাসের চরমতম তামাশার নির্বাচনে অংশ নিবেন তারা নব্য রাজাকার হিসেবে বিবেচিত হবেন। এখনও জনগণের পক্ষে এসে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান তারা।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন নাকি আর থামবে না। ট্রেন লাইনই তো নেই।
সুতরাং এই ট্রেন নদীতে পড়বে, না সাগরে পড়বে- সেটাই আমরা এখন পর্যন্ত জানি না। মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে, গণতন্ত্র নিয়ে, নির্বাচনের সুযোগ নিয়ে যে নয়ছয় করছেন, সেটা দেশের মানুষ আর বরদাস্ত করবে না।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কিউএনবি/বিপুল/০৩.১২.২০২৩/রাত ১০.২৭