স্পোর্টস ডেস্ক : ভারত বিশ্বকাপ আফগানদের জন্য রূপকথার গল্প। সেই গল্পের নায়করা দেশে ফিরলেন হাসিমুখে। তাদের বরণ করে নিলো দেশবাসী। আগের মতো গ্রুপ পর্ব হলে, এক চমকেই পরের রাউন্ডে চলে যাওয়ার সুযোগ থাকতো। কিন্তু, রাউন্ড রবিন পর্বে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে, প্রতিটি দলের সঙ্গে লড়াই করে সেমিফাইনালের টিকিট কাটা চাট্টিখানি কথা নয়। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো অভিজ্ঞ দল সেমির মঞ্চে উঠতে ব্যর্থ।
এমনকি গত বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডও ধরাশায়ী। কিন্তু, সেখানেই ব্যতিক্রম আফগানিস্তান। বিশ্বকাপে সেরা চারের দৌড়ে খুব ভালোভাবে ছিল তারা। একে একে তিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিয়েছে, বার্তা দিয়েছে ক্রিকেট বিশ্বে নতুন শক্তির আগমনের।
দিল্লিতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৬৯ রানে হারিয়ে শুরু আফগানদের স্বপ্নযাত্রা। এরপর চেন্নাইয়ে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারায় তারা। আর পুনেতে জনাথন ট্রটের শিষ্যদের শিকার শ্রীলঙ্কা। ৭ উইকেটের ব্যবধানে জয়। লখনৌয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও বড় জয় পায় আফগানিস্তান।যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের মানুষের কাছে ক্রিকেট এসেছিল আনন্দের উপলক্ষ্য হয়ে। ক্রিকেটীয় কাঠামো অতটা শক্তিশালী নয়। বোর্ডের কোষাগারে নেই অঢেল অর্থ। নিজ দেশে খেলারই সুযোগ পান না রশিদ-নবী-মুজিবরা। প্রিয় তারকাদের খেলা হোম ভেন্যুর গ্যালারিতে বসে দেখার সুযোগ পান না ভক্তরা। বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স তাদের স্বপ্নবাজ করে তুলেছিল।
কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তাদের স্বপ্ন পূর্ণতা পায়নি। এত এত চমক উপহার দিয়েও সেমির টিকিট কাটতে পারেনি আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হারের আফসোস পোড়াচ্ছে তাদের। আর এর চেয়েও বড় হতাশা, পাঁচ বারের শিরোপা জয়ী অস্ট্রেলিয়াকে হাতের মুঠোয় পেয়েও জিততে না পারা। এ দুই ম্যাচ জিতলে যে প্রথমবারের মতো এলিট রাউন্ডে পৌঁছে যেত হাশমউল্লাহ শহীদির দল। হয়তো আফগান ক্রিকেট পেয়ে যেত নতুন ডানা।
কিউএনবি/আয়শা/১৪ নভেম্বর ২০২৩,/রাত ১:০৪