জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদায় মা-দূর্গা মহা ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। পাঁচ দিনব্যাপী এই দুর্গোৎসব উদযাপন শেষে মঙ্গলবার বিকেলের দিকে খাগড়াছড়িতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অশ্রুসিক্ত নয়নে দূর্গা মাকে বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলের দিকে মন্দিরগুলো থেকে খাগড়াছড়ি চেঙ্গী নদীর উদ্দেশ্যে প্রতিমা বিসর্জনে বের হন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এ সময় সব অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির বিকাশের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে- এ প্রার্থনা করেন তারা। এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পুষ্পাঞ্জলি গ্রহণ করে আর নারীরা একে অপরের মুখে সিদুরের রঙে রাঙিয়ে দেবীদুর্গার বিসর্জনের বার্তা জানান দেয়।
ঢাক-ঢোল, কসর ধ্বনিতে পাঁচদিন আগে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যে শারদোৎসবের সূচনা হয়েছিল, সেই একই বাদ্য-বাজনায় ইতি ঘটল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় সেই উৎসবের। এদিকে দুর্গাদেবীর বিসর্জনকে সামনে রেখে দুপুরের পর থেকেই জেলা সদরের বিভিন্ন পূজামন্ডপ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। একই সময়ে বিভিন্ন উপজেলা সদরেও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন বয়সী সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষরা অংশ নেয়। এসময় ভক্ত-পুজারীরা বিষাদ ভুলে হাসিমুখে দেবী মাকে বিদায় জানাতে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন।
শোভাযাত্রা জেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চেঙ্গী নদীর পাড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে একে একে চলে প্রতিমা বিসর্জন। এসময় পুরো চেঙ্গী নদীর তীর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এসময় ঢাক-ঢোল আর কাসার আওয়াজে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে। এদিকে একই সময়ে জেলার রামগড়, ,মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, মানিকছড়ি, পানছড়ি,দীঘিনালা, মহালছড়ি ও লক্ষীছড়িতে স্বাড়ম্বরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসবের। এবারের পূজা উদযাপনের মাধ্যমে সব অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির বিকাশ ঘটবে।
খাগড়াছড়ি জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম জানান, প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি নিরাপত্তায় পুলিশ ছিল। যেন নির্বিঘ্নে ও সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিমা বিসর্জন দিতে পারে সে বিষয়ে পুলিশ কাজ করেছে।
কিউএনবি/আয়শা/২৪ অক্টোবর ২০২৩,/রাত ১১:৩৩