নিজস্ব প্রতিবেদক : ছাত্রদলের নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্যের কনভেনশন গত ১২ অক্টোবর (২০২৩) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রদলের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্যের কনভেনশন হলেও মঞ্চে দেখা গেছে বিএনপি বিদ্বেষী একঝাঁক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের কে। এটা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছাত্র দলের সাবেক এবং বর্তমান নেতাকর্মীরা।এই প্রতিবেদকের কাছে ছাত্রদলের সাবেক এবং বর্তমান একঝাঁক নেতাকর্মী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের একজন হাসান আল মামুন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাবেক ছাত্র । বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন কয়েক বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী ফাতেমা বীথি কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় কারাগারে ছিলেন ।
এখন জামিনে আছেন। তার বিরুদ্ধে মামলার বিচার কার্যক্রম চলমান। ধর্ষণ, চাঁদাবাজি এবং কমিটি বাণিজ্যের মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মামুন কে ছাত্র ঐক্যের ছাত্র কনভেনশনে দেখে ক্ষুব্ধ সাবেক কয়েকজন ছাত্রদল নেতা। ছাত্র ঐক্যের অন্তর্ভুক্ত ১৫ টি ছাত্র সংগঠনের অভিভাবক রাজনৈতিক দলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক কে দাওয়াত দেয়া হলে নুর এবং রাশেদ খান দাওয়াত পান। তাদের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এই হাসান আল মামুন কিভাবে মঞ্চে বসার জায়গা পেয়েছেন তার উত্তর নেই ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কাছে।
হাসান আল মামুন এর চেয়ে একধাপ এগিয়ে ছিলেন গণ অধিকার পরিষদ একাংশের সভাপতি এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বসেছেন এঁকেবারে সামনের সারিতে। তবে তিনি আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন।তার পাশেই ছিলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনিও একসময় বিএনপি বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করতেন। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলে থাকাকালে নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে হলের খাবারের দোকান গুলোতে ফাও খাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষে টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে নারী কে বিবস্ত্র করে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।এই ঘটনার পর তৎকালীন সময়ে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় নুরুল হক নুরের ছবি দেখা যায়।
ছাত্রদলের সাবেক এবং বর্তমান কয়েকজন নেতাকর্মীদের অভিযোগ ২০১৩ সালের জুলাই মাসে ছাত্রদল নেতা মামুন খাঁন, নাসির উদ্দিন শাওন, ওয়াসিম খান মুক্ত সহ কয়েকজন নেতার নেতৃত্বে সরকারী চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে শাহবাগ মোড়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।ন্যায্য এই আন্দোলনে তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী সমর্থন জানিয়েছিলেন। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এটা জানতে পেরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং পুলিশ যৌথ হামলা চালিয়ে আন্দোলন বানচাল করে দেন।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে অতীতে আন্দোলনকারীদের পরামর্শে ২০১৩ সালের ব্যর্থ আন্দোলনের অভিজ্ঞ থেকে শিক্ষা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন টিকিয়ে রাখার জন্য “বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ “ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই সংগঠনের কমিটিতে ছাত্রদল সমর্থিত কাউকে রাখা হয় নি। সরকারের আনুকূল্য লাভের জন্য সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল মামুন কে আহ্বায়ক করা হয়।
তবে তিনি আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে ভয় পেতেন। সেই বছরের ৮ এপ্রিল রাতে শাহবাগ মোড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার এড়াতে রাশেদ খান, হাসান আল মামুন সহ শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে চলে গেলে মুহসীন হল ছাত্রলীগের সাবেক উপ মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এর যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হক নুর গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন। ৮ এপ্রিল পরবর্তী সময়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কোটা সংস্কার আন্দোলন সফল করতে মাঠে থাকলেও ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা বাতিল ঘোষণার পর ছাত্র অধিকার পরিষদের হাসান আল মামুন, রাশেদ খান, নুরুল হক নুর, ফারুক হাসান, মাহফুজুর রহমান খাঁন আন্দোলনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের অবদানের কথা ভুলে যান।
৩০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে নুরুল হক নুর সহ কয়েকজন নেতা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেন। সেই বছরের ১১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ঘোষণা থেকে সরে এসে বলেন, “আমি এমনিতেই বলেছিলাম কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হবে না”।এরপর ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উদারহস্তে কোটা সংস্কার আন্দোলনের দুর্দিনে সহযোগিতা করেন। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন সফল হওয়ার পর ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ পর্যন্ত করে নি। এমনকি ছাত্রদলের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিকের মাধ্যমে
কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজিব আহসান এবং সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টুর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের “এপয়েন্টমেন্ট” নিয়েও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের খুশি রাখতে হাসান আল মামুন, নুরুল হক নুর, রাশেদ খান সহ কয়েকজন নেতা দেখা করে নি। এতে ক্ষুব্ধ হন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা! গণ অধিকার পরিষদের একাংশ এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ সেই ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে নিরাপদ ক্যাম্পাস, নিরাপদ হল, নিরাপদ ভোট সহ ৫ দফা দাবিতে “নিরাপদ বাংলাদেশ চাই” আন্দোলন গড়ে তুলতে চেষ্টা করলেও রাশেদ খান এবং নুরুল হক নুর সেই আন্দোলনের বিরোধিতা করেন।
২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এবং সূর্যসেন হলের সামনে ছাত্র অধিকার পরিষদের সোহরাব হোসেন, জালাল আহমদ, জসীম উদ্দিন আকাশ, আহমদ কবির ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হলেও নুরুল হক নুর, রাশেদ খান আহতদের পাশে ছিলেন না। আন্দোলনের মাঠেও আসেন নি।ফলে আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় চলে আসে। সেই ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ডাকসু নির্বাচনের আগে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিরোধী ছাত্র সংগঠন গুলো “সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য” গড়ে তোলা চেষ্টা করা হলে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা সবচেয়ে বেশি বিরোধীতা করে।
সেই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জন জহুরুল হক হলের ২০৩ নম্বর রুমে ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীর সাথে নুরুল হক নুরের দফায় দফায় বৈঠক হয়েছিল। প্রথমেই তাকে “এজিএস পদে নির্বাচন করার অফার” দিয়ে এই পদে প্রার্থী হলে তাকে বিজয়ী করে আনার আশ্বাস দিয়েছিলেন রব্বানী। নুরুল হক নুর ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ার কথা জানান। হাতিরপুলে গণফোরাম সমর্থিত এক আইনজীবীর চেম্বারে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা ছাত্রলীগের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
এরপর ছাত্র অধিকার পরিষদের আহত নেতাকর্মীদের চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে আসা অনুদানের টাকা বণ্টন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে একটি অংশ নুরুল হক নুর এবং রাশেদের সাথে বিদ্রোহ করে। তৎকালীন সময়ে একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা এবং সংসদের কথিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বিদ্রোহী নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কে জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন “ছাত্র সমাজ” এ যোগদান করলে জিএস পদে বিজয়ী করে আনার আশ্বাস দেওয়া হয়। জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন “ছাত্র সমাজ” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ উল্লেখ করে ছাত্র অধিকার পরিষদের বিদ্রোহী নেতারা সেই অফার ফিরিয়ে দেন।
এরপর ছাত্রলীগ এবং কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক শেষে ভিপি পদে নুরুল হক নুর কে বিজয়ী হওয়ার নিশ্চয়তা দেন ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী। নুরুল হক নুর কে ডাকসুতে ভিপি পদে বিজয়ী করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গোলাম রব্বানী ভিপি পদে মনোনয়নপত্র না নিয়ে জিএস পদে মনোনয়নপত্র তুলেন। অথচ তিনি এর আগে গোলাম রব্বানী ভিপি, সাদ্দাম হোসেন কে জিএস পদে রেখে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে নুরুল হক নুর কে এজিএস পদে বিজয়ী করার নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন।
ছাত্রলীগের সাথে নুরুল হক নুরের সমঝোতার পর বামপন্থী দলগুলোর ছাত্র সংগঠনের সাথে বেঈমানি করে জোটগতভাবে প্রার্থী না দিয়ে এককভাবেই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা। ছাত্র ইউনিয়নের লিটন নন্দী এবং ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এর নুরুল হক নুর ভিপি পদ নিয়ে কেউ কাউকে ছাড় না দেওয়ার কারণে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগ ভেস্তে যায় আগেই।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনের দিন ভোট ডাকাতি করে গভীর রাতে সামান্য ভোটের ব্যবধানে নুরুল হক নুর কে বিজয়ী দেখানো হয়।ডাকসু নির্বাচনের পরদিন নুরুল হক নুর চার ঘণ্টার ব্যবধানে চার রকমের বক্তব্য দেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের “আবেগের” সঙ্গে প্রতারণা করে নুরুল হক নুর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন।
ডাকসু নির্বাচনে সেই সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এমন একজন ছাত্রদল নেতা জানান,” ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির পর ছাত্রদল সহ ৫ টি ছাত্র সংগঠন নির্বাচন বর্জন করায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আশাবাদী হয়েছিলেন। তিনি নুরুল হক নুর কে ভিপি পদের দায়িত্ব গ্রহণ না করতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তারেক রহমানের অনুরোধ উপেক্ষা করে নুরুল হক নুর ভিপি পদ গ্রহণ করায় বিএনপি এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হন নুরুল হক নুরের প্রতি।
গণ অধিকার পরিষদের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলামের বাবা কৃষক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আরিফুল ইসলাম আদিব জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আগে ছাত্র শিবির করতেন। ভর্তি হওয়ার পর ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের দুর্দিনে রাজপথে সক্রিয় না থাকলেও ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের পর নুরুল হক নুরের হাত ধরে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সঙ্গে যুক্ত হন। পরবর্তী সময়ে কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে নিজ সংগঠনে।
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম এবং আরিফুল ইসলাম আদীব উভয়েই বিবাহিত জীবনে পদার্পণ করায় নিজ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিব্রত হন সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে। বামপন্থী দলগুলোর নেতারা সবসময় বিএনপি বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করতো। তরুণ বাম নেতা জোনায়েদ সাকি সেই মনোভাব পরিবর্তন করে এখন বামপন্থী দলগুলো কে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে রাজপথে আনতে পেরেছেন। সেই কারণে বামপন্থী দলগুলোর ছাত্র সংগঠন নিয়ে ছাত্র ঐক্য গড়তে সমস্যা হয় নি। কিন্তু ছাত্র অধিকার এবং বাম ছাত্র নেতাদের আপত্তির কারণে রাজপথে সক্রিয় ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির কে ছাত্র ঐক্যে রাখা হয় নি।
১৫ টি ছাত্র সংগঠনের মধ্যে আদর্শিক ছাত্র সংগঠন তেমন নেই। সবাই এখানে ব্যক্তি নির্ভর রাজনীতি করে। তাই সাবেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে গঠিত বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী “ছাত্র ঐক্যের স্থায়িত্ব” নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। অভিযোগের বিষয়ে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এর সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুন এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল কেটে দেন। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠালেও তিনি রেসপন্স করেন নি।
তবে ডাকসুর সাবেক ভিপি এবং গণ অধিকার পরিষদ একাংশের বর্তমান সভাপতি নুরুল হক নুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি ছাত্র ঐক্যের ছাত্র কনভেনশনে তিনি আমন্ত্রিত অতিথি ছিলাম। হাসান আল মামুন আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন কিনা তা আমি জানি না। তবে অন্য অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি জানান, “আমি এখন একটা মিটিং এ আছি”। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
কিউএনবি/আয়শা/১৬ অক্টোবর ২০২৩,/রাত ৮:২৮