আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজাজুড়ে বোমাবৃষ্টি চালাচ্ছে ইসরাইল বাহিনী। তাদের হামলায় এখনো পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৯৫০ বেসামরিক লোক। নিহতদের মধ্যে ৫৬০ জন নারী ও শিশু রয়েছেন।
গাজায় ইসরাইলি হামলায় ২৬০ শিশু ও ৩০০ নারী রয়েছেন। এ ছাড়া পশ্চিমতীরে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ। অন্যদিকে হামাসের হামলায় নিহত ইসরাইলিদের সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়ে গেছে। গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যার অভিযোগ এনেছে মানবাধিকার সংগঠন ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটর। ইসরাইলি বিমান হামলায় মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়া গাজার বিভিন্ন এলাকার ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছে সংগঠনটি।
এদিকে ফিলিস্তিনি বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ (পিসিডি) জানিয়েছে, অসংখ্য মানুষ বিমান হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের মধ্যে আটকা পড়ে আছে। তাদের টিমগুলোর পক্ষে উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বুধবার এক বিবৃতিতে পিসিডি বলেছে, অবিরাম বোমা হামলার কারণে বহু এলাকায় লোকজন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকা পড়ে আছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস বলেছেন, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য গাজা উপত্যকায় প্রায় তিন লাখ সেনা মোতায়েন রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করা একটি ভিডিওতে তিনি বলেছেন, গাজা স্ট্রিপের (উপত্যকা) কাছাকাছি অঞ্চলগুলোতে আমরা যা করছি, তা হলো— আমরা তিন লাখ সেনা মোতায়েন করেছি। এর মধ্যে আমাদের পদাতিক, সাঁজোয়া সেনা, আর্টিলারি কর্পস এবং রিজার্ভ থেকে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্রিগেড ও ডিভিশন থেকেও সেনা পাঠানো হয়েছে। তারা এখন মিশনটি কার্যকর করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এ ব্যাপারে ইসরাইলি সরকার অনুমোদ দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কিউএনবি/আয়শা/১১ অক্টোবর ২০২৩,/বিকাল ৩:৪৮