স্পোর্টস ডেস্ক : আর মাত্র কয়েক দিন পর শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ। তবে শুরুর আগেই নানান ঘটনার জন্ম দিচ্ছে এবারের আসর। সর্বশেষ নাটক ছিল পাকিস্তানের ভিসা জটিলতা। শেষ পর্যন্ত ভারতের উদ্দেশে যাত্রার ৪৮ ঘণ্টা আগে ভিসা পেয়েছে পাকিস্তান। পিসিবিকে বিষয়টি সুরাহা করতে আইসিসির কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে হয়েছিল।
আগস্টের প্রথম সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লিখিত দিয়েছিল বিসিসিআইকে বিশ্বকাপের নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স প্রয়োজন যদি সেখানে এমন কোনো বিদেশি থাকে যারা পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাক, সুদানের নাগরিক। ভারত-পাকিস্তানের পূর্ব ইতিহাস অনুযায়ী দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে চলাফেরা খুবই সীমিত। তাই ভিসা প্রক্রিয়া বিলম্ব হওয়া ছাড়া কোনো উপায়ও ছিল না।
ভিসার আবেদনগুলো আগস্টের শেষে শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এশিয়া কাপে অংশগ্রহণ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে দেরি করেছে পাকিস্তান। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ হয়েছে হাইব্রিড মডেলে। সুপার ফোরের একটি বাদে সব ম্যাচ হয়েছে শ্রীলংকায়। পাকিস্তান পাসপোর্ট ছাড়াই ভিসা আবেদনের অনুরোধ করেছিল। কিন্তু তা মেনে নেওয়া হয়নি। কোনো উপায় না পেয়ে পুরো স্কোয়াড একসঙ্গে হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে পাকিস্তানকে। দেশে ফিরে নিজেদের পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন খেলোয়াড়রা।
১৯ সেপ্টেম্বর পাসপোর্ট এবং আবেদন জমা হয়েছিল পাকিস্তানের। এ কারণে এতদিন কোনো অফিসিয়াল আপডেট না আসায় পিসিবির চিন্তা বাড়ছিল। সোমবার ভিসা পাওয়ার আগ পর্যন্ত পিসিবি আইসিসির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গেছে। সব কিছু বিবেচনায় পাকিস্তান মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ভিসা পেয়েছে, যা মোটেও বিলম্ব নয়।
২২ সেপ্টেম্বর বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করে পাকিস্তান। তবে এর জন্য ভিসা প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হয়নি। কারণ আগেই ভিসা আবেদন করে রেখেছিল পিসিবি। তা ছাড়া কারা বিশ্বকাপে খেলবে তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা ছিল পিসিবির। এ কারণে দলের কারোর ভিসা পেতে দেরি হয়নি।
এই সংকটময় পরিস্থিতির মূল কারণ ছিল এশিয়া কাপ এবং দুই দেশের মধ্যে শীতল সম্পর্ক। পুরো এশিয়া কাপ যদি পাকিস্তানে হতো, শ্রীলংকায় যাওয়া না লাগত, তা হলে সঠিক সময়ে ভিসা পেয়ে যেতেন বাবর আজমরা। তা ছাড়া দুই দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক কাজটি আরও দ্রুত করে দিতে পারত। ভারত-পাকিস্তান ২০১২ সাল থেকে নিজেদের মধ্যে সব ধরনের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বাতিল করেছে। শুধু আইসিসি ও এসিসি টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হয় দুদল। সর্বশেষ সাত বছর আগে ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে গিয়েছিল পাকিস্তান।
কিউএনবি/আয়শা/২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩,/বিকাল ৩:০৫