ডেস্কনিউজঃ শুক্রবার অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রুশ নৌ ঘাঁটির সদর দফতরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর ইউক্রেন সেই অঞ্চলে আরো হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে। শুক্রবারের হামলায় ব্ল্যাক সি ফ্লিটের কমান্ডার নিহত হয়েছেন বলে কিয়েভ দাবি করছে।
রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের উপর চাপ বজায় রাখছে ইউক্রেন। শুক্রবার ব্ল্যাক সি ফ্লিটের সামরিক দপ্তরের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিশাল ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির দাবি করার পর ইউক্রেন আবার ক্রিমিয়ার দিকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
রাশিয়ার দাবি, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সেই হামলা বানচাল করে দিয়েছে। সেভাস্তোপোলের রাশিয়া-নিযুক্ত গভর্নর মিখাইল রাজভজায়েভ টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে জানিয়েছেন, যে সোমবার রাতে বেলবেক বিমান ঘাঁটির কাছে ক্ষেপণাস্ত্রটি ধ্বংস করা হয়েছে। সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষাপটে ক্রিমিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরো জোরালো করার ঘোষণা করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার সামরিক অবকাঠামো অকেজো করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন।
সীমান্তের কাছে রাশিয়ার ভূখণ্ডে বেলগোরোদ অঞ্চলেও সোমবার সাতটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে বলে রাশিয়া দাবি করছে। ইউক্রেনে সৈন্য, রসদ ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর ক্ষেত্রে এই অঞ্চলটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে পালটা সামরিক অভিযানে এখনো তেমন বড় সাফল্য দেখাতে না পারায় চাপের মুখে রয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডা সফর করে তিনি আরো সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি আদায় করে পরিস্থিতি সামাল দেবার চেষ্টা করছেন।
সোমবার তিনি জানান, যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথম পর্যায়ে কিছু আব্রাম ট্যাংক ইউক্রেনে পৌঁছেছে। সেগুলো দ্রুত যুদ্ধক্ষেত্রে কাজে লাগানোর উদ্যোগ শুরু হয়ে গেছে। তবে ট্যাংকের সংখ্যা সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করেনি।
ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার ব্ল্যাক সি ফ্লিটের সদর দপ্তরের ওপর শুক্রবারের সফল ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সেই ইউনিটের কমান্ডার ভিক্টর সোকোলভ নিহত হয়েছেন বলে ইউক্রেন দাবি করছে। ইউক্রেনের সূত্র অনুযায়ী সেই হামলায় মোট ৩৪ জন অফিসার মারা গেছেন।
রাশিয়া অবশ্য এমন দাবি সম্পর্কে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। মস্কো জানিয়েছে, হামলার পর একজন সৈন্য নিখোঁজ রয়েছে। ইউক্রেনের মতে, নৌ দপ্তরের ভবন মেরামতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
সোমবার রাশিয়া অধিকৃত লুহানস্ক অঞ্চলে রাশিয়া সীমান্তের কাছে এক কারখানায় বিশাল বিস্ফোরণ ঘটেছে। সেই ঘটনা সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। রাশিয়াও গত কয়েক দিন ধরে ইউক্রেনের দক্ষিণে একাধিক হামলা চালিয়ে আসছে। বেরিস্লাভ ও ওডেসায় আকাশপথে হামলায় বেশ কিছু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। ইউক্রেনের সূত্র অনুযায়ী বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেসামরিক স্থাপনার ওপর রাশিয়ার হামলার শিকার হচ্ছেন নিরীহ মানুষ।
কিউএনবি/বিপুল/২৬.০৯.২০২৩/ বিকাল ৩.২৮